ডেস্ক রিপোর্টার, ২১মে।।
ভোট আবহে বাজারে খদ্দের ধরতে মাঠে নেমেছে বিদ্যা ব্যবসায়ীরা। রাজ্য জুড়ে এরা বিস্তার করেছে জাল। তার মধ্যে যেমন আছে প্রচুর ভূঁইফোড় কলেজ।আবার আছে নামজাদা কলেজও। সবাই ছাত্র – ছাত্রীদের ধরার জন্য বিস্তার করেছে জাল।এখন বিদ্যা ব্যবসায়ীর এজেন্টরা সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে ছাত্র – ছাত্রীদের ঘরের দরজায়। ছাত্র – ছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকদের নানা রকম ভাবে ফুঁসলিয়ে পাতে প্রতারণার ফাঁদ। এই রকম বহু ঘটনার দৃষ্টান্ত রয়েছে রাজ্য জুড়ে। এমন ঘটনার সাক্ষী গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকাশ মিয়া।

আগরতলার বড়দোয়ালীতে বিদ্যা ব্যবসার ফাঁদ পেতে বসেছে গুরু কূল এডুকেশন কনসালটেন্সি নামক একটি সংস্থা। এই সংস্থাটি বহিঃ রাজ্যের এনলাইট গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনের স্থানীয় “দালাল”। বহিঃ রাজ্যের এই ইনস্টিটিউশনে মেডিক্যাল, নার্সিং, প্যারামেডিকেল, ফার্মেসি পড়ার সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে গুরু কূল
এডুকেশন কনসালটেন্সির লিফলেট থেকে। তবে তাদের কলেজগুলির বৈধতা কতোটা? তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ।.

কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকাশ মিয়া। তার মেয়ে সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। এই খবর স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে জানতে পারে বিদ্যা ব্যবসায়ী গুরু কূল এডুকেশন কনসালটেন্সি। এরপর এই বিদ্যা ব্যবসায়ী সংস্থার দূত সরাসরি চলে যায় আকাশ মিয়ার বাড়িতে।তখন আকাশ বাড়িতে ছিলেন না।

বিদ্যা ব্যবসায়ীর চাইরা ছাত্রীটিকে ব্যাঙ্গালোরে নার্সিং কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেবে বলে তার সমস্ত অরিজিনাল কাগজ পত্র নিয়ে আসে। তার মধ্যে রয়েছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার এডমিট,মার্কশিট সহ পিআরটিসি। সঙ্গে চারশ টাকা।আকাশ মিয়া বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পারেন। এবং তিনি বুঝে যান মেয়ে ঠগবাজদের হাতে পড়েছে। আকাশ মিয়া ছুটে আসেন বিদ্যা ব্যবসায়ীর বড়দোয়ালীস্থিত অফিসে।

আকাশ মিয়া ভূঁইফোড় বিদ্যা ব্যবসায়ী গুরু কূল এডুকেশন কনসালটেন্সিতে আসার পর তাদের প্রতারণার ফাঁদ আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। গুরু কূলের প্রতারক চাইরা জানিয়ে দেয়, ” আকাশ মিয়াকে তার মেয়ের কাগজ পত্র নিতে হলে নগদ ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে।” একথা আকাশ নিজেই জানিয়েছেন।

প্রতারক বিদ্যা ব্যবসায়ী সংস্থা গুরু কূল এডুকেশন কনসালটেন্সির এক কর্তা কি বলছেন শুনুন? তিনিও বলছেন, ভর্তি না করলেও টাকা দিতে হবে। তবেই তারা ফেরত দেবে আকাশ মিয়ার মেয়ের অরিজিনাল কাগজ পত্র। গুরু কূলের এডুকেশন কনসালটেন্সির প্রতারক কর্তার কথা থেকে স্পষ্ট তারা কিভাবে গরীব মানুষের পকেট কাটছে। তাই রাজ্য শিক্ষা দপ্তর সহ পুলিশ বিদ্যা ব্যবসায়ীদের উপর নজর রাখলে অনেক ভূঁইফোড় কলেজ – ইউনিভার্সিটি সহ স্থানীয় দালালদের মুখ সামনে চলে আসবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী নিতে পারবে ব্যবস্থা। প্রতি বছর রাজ্যের বহু ছেলে মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে গুরু কূল এডুকেশন কনসালটেন্সির মতো ভূঁইফোড় এজেন্টরা।তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আরো ছাত্র ছাত্রী সহ অভিভাবকরা সর্বশান্ত হবেন,বলেন মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।