“শহরের টাউন প্রতাপগড়ের বাসিন্দা উত্তম বসাক। তিনি মহারাজগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী। পরিবারের লোকজনের কথায় , বুধবার রাতে স্থানীয় একতা ক্লাব সংলগ্ন এলাকার মূল সড়কে বাইক নিয়ে পড়ে যান উত্তম বসাক। পায়ে ও হাতে সামান্য আঘাত পান। রাতে খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর লোকজন এসে উত্তমকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় জিবি হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজনও ছুটে যায় জিবিতে।”…

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪জুন।।
বাইক দুর্ঘটনায় সামান্য আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু। ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জিবি হাসপতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। নিহত চিকিৎসকের নাম উত্তম বসাক (৫০)। বাড়ি টাউন প্রতাপগড়ে। বুধবার রাতে এই ঘটনা। জিবি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নিহত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন আদালতে মামলা মামলা দায়ের করবেন বলে খবর।

শহরের টাউন প্রতাপগড়ের বাসিন্দা উত্তম বসাক। তিনি মহারাজগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী। পরিবারের লোকজনের কথায় , বুধবার রাতে স্থানীয় একতা ক্লাব সংলগ্ন এলাকার মূল সড়কে বাইক নিয়ে পড়ে যান উত্তম বসাক। পায়ে ও হাতে সামান্য আঘাত পান। রাতে খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর লোকজন এসে উত্তমকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় জিবি হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজনও ছুটে যায় জিবিতে।

পরিবারের সদস্যদের কথায়, সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সিটি স্ক্যান ও এক্সরে করানোর নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। উত্তম বসাক নিজেই হেঁটে হেঁটে এক্সরে রুমে যান। এবং এক্সরে করেন। এরপর যান সিটি স্ক্যান রুমে যায়। সিটি স্ক্যান মেশিনে তোলার পর সে মাথা নাড়া চাড়া করছিল। তাই স্ক্যান করা যাচ্ছিল না। এই সময় উত্তম মাদকাসক্ত ছিলো। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন তাকে অজ্ঞান করে সিটি স্ক্যান করা হবে। পরিবারের লোকজনও তাতে সহমত পোষণ করেন। কারন তারাও উত্তমের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছিলেন।

মৃত্যু হওয়া ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, তাদেরকে কর্তব্যরত চিকিত্সকরা জানান, অ্যানেসথেসিয়া করার ১৫ মিনিটের মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসবে উত্তম বসাকের। সেই মোতাবেক অ্যানেসথেসিয়ার ইনজেকশন পুশ করা হয় উত্তম বসাকের শরীরে। কিন্তু ১৫ মিনিট পর উত্তমের জ্ঞান ফিরে নি। বরং ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যানেসথেসিয়ার ইনজেকশন পুশ করার পর রোগীর মৃত্যু কাম্য নয়। এই ধরনের ঘটনার সাধারণত রোগীর শরীরে “শর্ট অ্যানেসথেসিয়া” দেওয়া হয়। তার জন্য অ্যানেসথেটিসকে ডাকতে হয়। সেই অনুযায়ী রোগীর শারিরীক অবস্থা ও প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অ্যানেসথেসিয়ার জন্য কি ইনজেকশন পুশ করেছে?

এটা অবশ্যই জানেন না রোগীর পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসকের ব্যবস্থা পত্রও দেওয়া হয় নি উত্তম বসাকের পরিবারের সদস্যদের হাতে। তবে এক্সরে রিপোর্ট ও সিটি স্ক্যান রিপোর্টে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায় নি।

তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, অনেক সময় রোগীর শরীরে গোপন কিছু সমস্যা থাকে।এটা রোগী নিজেও জানেন না।তখন কখনো কখনো অ্যানেসথেসিয়া করলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এটা নাকি এতটাই মারাত্বক, রোগীকে টেনে নেয় মৃত্যুর দোয়ারেও।