ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ অক্টোবর।।
রাজ্যের ছেলে। দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিন্ন রাজ্যের মাটির সঙ্গে। বাম অপশাসন থেকে রাজ্যকে মুক্তির জন্য হঠাৎ ডাক পরে তার।ছুটে আসেন রাজ্যে। শুরু করেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।অপরিপক্ক রাজনীতিবিদ হিসাবে নিন্দুকেরা মুখর হন তাঁর সমালোচনায়। ১৮-র নির্বাচনে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে বামেদের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছিলেন তিনি। নিজেকে আক্ষরিক অর্থে প্রমান করেছিলেন তিনি একজন রাজনীতিবিদ।
তিনি আর কেউ নন,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।সরকার গঠনের পর বিপ্লব কুমার দেবের আরেক সুপ্ত প্রতিভা উন্মোচিত হয়। তিনি একজন খুরদার রাজনীতিবিদের পাশাপাশি একজন সফল লেখকও।তার প্রমান পাওয়া যায় “আধুনিক ত্রিপুরার শিল্পকার মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য।”—–মুখ্যমন্ত্রীর লেখা এই বইয়ে। বইটির উদ্বোধন করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার বীরবিক্রম কিশোর মানিক্যকে নিয়ে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বইটি এখন ইতিহাসের পাতায় স্থান পেতে চলছে।এই বইয়ের একটি অধ্যায় এবার যুক্ত হতে পারে ত্রিপুরার স্কুলের সিলেবাসে। মুখ্যমন্ত্রীর বইটি স্কুলের পাঠক্রমে যুক্ত করার জন্য বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিলো রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। শিক্ষা দপ্তর তাতে সায় দিয়েছে।তবে রাজ্য মন্ত্রিসভা ও মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সংকেত পেলেই শিক্ষা দপ্তর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বইয়ের প্রথম অধ্যায়টি পঞ্চম শ্রেণীর পাঠক্রমে যুক্ত হতে পারে বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব-র লেখা বই – “আধুনিক ত্রিপুরার শিল্পকার মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য।” বইটি হিন্দিতে এবং বাংলা দুই ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিলো।বইটির প্রথম অধ্যায়ে আধুনিক ত্রিপুরার ইতিহাসের বিস্তৃত বর্ণনা করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ে ত্রিপুরার শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে মোদি সরকারের বেশ কিছু কাজকর্মের সাদৃশ্যের বিষয়টি লেখক বিপ্লব কুমার দেব তাঁর মনন দিয়ে সুনিপুন ভাবে তুলে ধরেছেন।
রাজ্য শিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত বিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকরা তাদের দাপ্তরিক কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজ্য মন্ত্রিসভা ও মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সংকেত দিলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা দপ্তর বইটির প্রথম অধ্যায় পঞ্চম শ্রেণীর পাঠক্রমে যুক্ত করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।তৎসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের মুকুটে যুক্ত হবে নতুন পালক।
