High Light:
“প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে বিরাট ব্লু প্রিন্ট। মূলত সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভান্ড দখল নিতেই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভারত রত্ন সংঘের অস্তিত্ব মুছে দিতে চাইছে কায়েমি স্বার্থে বিভোর এক দল রাজনৈতিক নেতা। মূলত ভারতরত্ন সংঘকে কেন্দ্র করেই ঊষা বাজারে গড়ে উঠেছিলো সিপিডব্লিউডি-র নিগোসিয়েশন বাণিজ্য।“…

ডেস্ক রিপোর্টার, ৯ জুলাই।।
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ঊষা বাজার ভারত রত্ন সংঘকে।আগামী সাত দিনের মধ্যে ভারত রত্ন সংঘের বিল্ডিং ভাঙার নির্দেশ দিলো প্রশাসন।এই সংক্রান্ত ইস্যুতে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন সদর মহকুমা শাসক।ঊষা বাজারের বনেদি ক্লাব ভারত রত্ন সংঘের বিল্ডিং ভাঙার নির্দেশে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল।সোমবার সদর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত রত্ন সংঘের বর্তমান সভাপতি দীনেশ সরকার ও সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে এই নোটিশ দেওয়া হয়। এবং এই নোটিশে সদর মহকুমা প্রশাসন তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

সদর মহকুমা শাসক তার নোটিশে বলেছেন, ভারত রত্ন সংঘের বিল্ডিংটি খাস জমিতে তৈরি করা হয়েছে। যার খতিয়ান নম্বর ১/৪২। প্লট নম্বর ৪৫১৪ এবং জমির পরিমাণ ০.৪৪০ একর। জমির মালিক ত্রিপুরা সরকার। জারি করা নোটিশের ফাইল নম্বর F.4(16)/SDM/SDR/REV/2024/5856-59।

“খতিয়ান নম্বর ১/৪২। প্লট নম্বর ৪৫১৪ এবং জমির পরিমাণ ০.৪৪০ একর। জমির মালিক ত্রিপুরা সরকার।”
আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ভারত রত্ন সংঘের পাকা বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। স্পষ্ট ভাবে আইনের পরি ভাষায় বললে দখলদার উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কেন খাস জমিতে ক্লাব বিল্ডিং করা হয়েছে তার কারণ দর্শানোর জন্যও ভারত রত্ন সংঘের সভাপতি ও ক্লাব সম্পাদকে নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা প্রশাসন।

সদর মহকুমা প্রশাসনের এই নির্দেশ জানার পর ভারতরত্ন সংঘ এলাকার লোকজনের মধ্যে নানান কৌতহলের সৃষ্টি হয় তাদের বক্তব্য ভারত রত্ন সংঘ এই অঞ্চলের একটি বনেদি ক্লাব। দীর্ঘ বছর পুরনো। এতো দিন খাস জায়গাতেই বিল্ডিং তৈরি করে ক্লাবের কার্যকলাপ পরিচালিত হয়েছিলো।তখন কেন প্রশাসন বাধা দেয় নি? হঠাৎ করে প্রশাসনের মনে হয়েছে খাস জমিতে ক্লাব বিল্ডিং।ত্রিপুরা রাজ্যে শুধু ভারত রত্ন সংঘ নয়, এরকম হাজারো ক্লাব ও সামাজিক সংগঠন রয়েছে খাস জমির উপর। যারা স্থায়ী ভাবে তৈরি করেছে বিল্ডিং।তাহলে ভারত রত্ন সংঘের ক্ষেত্রে প্রশাসনের এই ভূমিকা কেন?

ঊষা বাজারে কান পাতলেই শোনা যায়, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে বিরাট ব্লু প্রিন্ট। মূলত সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভান্ড দখল নিতেই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভারত রত্ন সংঘের অস্তিত্ব মুছে দিতে চাইছে কায়েমি স্বার্থে বিভোর এক দল রাজনৈতিক নেতা। মূলত ভারতরত্ন সংঘকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিলো সিপিডব্লিউডি-র নিগোসিয়েশন বাণিজ্য। এটা এই এলাকার ট্র্যাডিশন বাম জামানা থেকেই চলে আসছে। বিজেপির জামানাতেও বহাল পূর্বের ট্র্যাডিশন।

এই খবর পড়ুন
সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভান্ড দখল নিতে গিয়েই খুন হয়েছিলেন ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকি। দূর্গাকে খুন করে গা ঢাকা দিয়ে আছে আরেক প্রাক্তন সম্পাদক রাজু বর্মন। ভিকির মৃত্যুর পর সিপিডব্লিউডি-র মধুর ভান্ড দখল ও ক্লাব পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি। এই কমিটির সভাপতি এলাকায় মুহুরী হিসাবে পরিচিত দীনেশ সরকার ও সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী।
“রাজনীতিক ভাবে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের দখল নিতে চাইছে শাসক দলের একটি গ্রুপ। তারাই সরাসরি নিগোসিয়েশিন কারবার পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি।”
কিন্তু রাজনীতিক ভাবে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের দখল নিতে চাইছে শাসক দলের একটি গ্রুপ। তারাই সরাসরি নিগোসিয়েশিন কারবার পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি।অভিযোগ, শাসক দল বিজেপির এই কমিটিকে পুরোপুরি ভাবে নিগোসিয়েশন কারবার দখল দেওয়ার জন্যই ভারত রত্ন সংঘের বিল্ডিংয়ের নাম – নিশান গুড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার বাস্তব প্রতিফলন – ই হলো সদর মহকুমা শাসকের জারি করা নোটিশ।