“২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের লিজেন্ড স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ৫০ফুট ছবি তৈরি করে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে পাঠিয়ে ছিলেন ।এবং এই ছবি বিশেষ সন্মান জানিয়ে রাজ্যকে বিশেষ স্থানে ডিস-প্লে করার নির্দেশ দিয়েছিলো।কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি ত্রিপুরার বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকার শচীন্দ্র লাল সিংকে সন্মান জানাতে পারে নি।”

হালের বাংলাদেশ জন্মের অবদানের পেছনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে নাম উচ্চারণ হয় শচীন্দ্র লাল সিংহের। বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ত্রিপুরায় আশ্রয় দিয়েছিলেন  শচীন্দ্র লাল সিং।

লালকেল্লা রেড ফোর্ট ওয়ালে শচীন্দ্র লাল( ছবি – সংগৃহীত)

ডেস্ক রিপোর্টার, ৭আগস্ট।।
                      শচীন্দ্র লাল সিং।ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার( ৭ আগস্ট ) তাঁর ১১৬ তম জন্ম দিন। ভারত – বাংলাদেশ ও মুক্তি যুদ্ধের সঙ্গে শচীন্দ্র লাল সিংয়ের নাম প্রাসঙ্গিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাল কেল্লাতে দেশের লিজেন্ড স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে শচীন্দ্র লাল সিংহয়ের ছবি রেখে তাঁকে সন্মান জানিয়ে ছিলেন।অথচ রাজ্যে সম্পূর্ণ ভাবে ব্রাত্য শচীন্দ্র লাল। কংগ্রেস – সিপিআইএম – বিজেপি সব দলের সরকারের শাসন কালেই যথার্থ সন্মান পান নি শচীন।
            ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের লিজেন্ড স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ৫০ফুট ছবি তৈরি করে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে পাঠিয়ে ছিলেন ।এবং এই ছবি বিশেষ সন্মান জানিয়ে রাজ্যকে বিশেষ স্থানে ডিস-প্লে করার নির্দেশ দিয়েছিলো।কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি ত্রিপুরার বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকার শচীন্দ্র লাল সিংকে সন্মান জানাতে পারে নি। কেন্দ্রের দেওয়া শচীন্দ্র লাল সিংয়ের ৫০ফুটের ছবি রাজ্য সরকার রাজ্যেই আনে নি। ডিসপ্লে করা তো দূরের কথা। জানিয়েছেন শচীন্দ্র লাল সিংহ’ র পরিবারের সদস্যরা।

।।রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত শচীন্দ্র লাল সিং।।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/big-breaking-sheikh-hasina-left-the-country-big-breaking-

শচীন্দ্র লাল সিংয়ের ছেলে আশীষ লাল সিংয়ের কথায়, “কেন্দ্রের মোদী সরকারের দেওয়া শচীন্দ্র লাল সিংয়ের ৫০ফুট ছবি এখন শোভা বর্ধন করছে দিল্লি ত্রিপুরা ভবনের গুদাম ঘরে।” এটা নিঃসন্দেহে রাজ্যের জন্য অপমান জনক । শচীন্দ্র লাল সিংহয়ের ১১৬ তম জন্মদিনের আগে আক্ষেপ করেই তার পরিবারের লোকজন এই অভিযোগ করেছেন।

।।বিজ্ঞাপণ।।

“কেন্দ্রের মোদী সরকারের দেওয়া শচীন্দ্র লাল সিংয়ের ৫০ফুট ছবি এখন শোভা বর্ধন করছে দিল্লি ত্রিপুরা ভবনের গুদাম ঘরে।এটা নিঃসন্দেহে রাজ্যের জন্য অপমান জনক।”– আশীষ লাল সিং

রাজনৈতিক ভাবে শচীন্দ্র লাল সিং ছিলেন কংগ্রেস। তারপরও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্বীকৃতি দিয়ে মোদী সরকার লাল কেল্লার রেড ফোর্ট ওয়ালে শচীন্দ্র লাল সিংয়ের ছবি টাঙিয়ে ছিলো।কিন্তু রাজ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা প্রথম মুখ্যমন্ত্রীকে সন্মান জানাতে ভুলেই গিয়েছে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

ইতিহাস গবেষকরা বলছেন, হালের বাংলাদেশ জন্মের অবদানের পেছনে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে নাম উচ্চারণ হয় শচীন্দ্র লাল সিংহের।  বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ত্রিপুরায় আশ্রয় দিয়েছিলেন শচীন্দ্র লাল সিং। মুক্তি যোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া সহ তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। মুক্তি যোদ্ধাদের দিয়েছিলেন থাকা – খাওয়ার জায়গা। হাজার হাজার শরণার্থীকে দিয়েছিলেন মাথা মাথা গুঁজার জায়গা। শচীন্দ্র লাল সিংয়ের নির্দেশে ৭১- র মুক্তি যুদ্ধের সময় রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা একদিনের বেতন তুলে দিয়েছিলো শরণার্থী শিবিরের শিশুদের খবরের জন্য।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1820819996072960316?t=MMsVDtI45Qn2RpZrXsVIbw&s=19

শচীন্দ্র লাল সিংয়ের পরিবারের সদস্যদের কথায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার মেয়ে বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা শচীন্দ্র লালকে সন্মান জানিয়েছেন।কিন্তু বার বার শচীন্দ্র লাল ব্রাত্য তাঁর নিজের রাজ্যেই।দীর্ঘ বাম জামানায় শচীন্দ্র লাল সিংকে আস্ত কুড়ের ঘরে ফেলে দিয়েছিল। বিজেপিও হাঁটছে একই পথে। আর কংগ্রেস কোনো রকমে শচীন্দ্র লাল সিংয়ের জন্ম দিন পালন করে।তবে কংগ্রেস ভবনে তাঁর ছবি আছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা একরাশ আক্ষেপের সুরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লায় শচীন্দ্র লালকে স্থান দিতে পারলেও রাজ্যের বিজেপি সরকার শচীন্দ্র লালকে উপযুক্ত সম্মান দিতে ব্যর্থ।

শচীন্দ্র লাল সিংয়ের নির্দেশে ৭১- র মুক্তি যুদ্ধের সময় রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা একদিনের বেতন তুলে দিয়েছিলো শরণার্থী শিবিরের শিশুদের খবরের জন্য।

আরো খবর পড়ুন

P-interest:https://pin.it/14WbSEegA

কয়েক বছর আগেও শচীন্দ্র লাল সিংয়ের পুত্র আশীষ লাল সিং নিজের উদ্যোগে রাজ্যে তার বাবার জন্মদিন পালন করতেন। এখন তিনিও নেই রাজ্যে। টেলিফোনে আশীষ লাল সিং জানিয়েছেন,” রাজ্যের বিজেপি সরকার তাঁর প্রয়াত পিতাকে সন্মান জানাতে পারে নি।
 

প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে শচীন্দ্রলাল সিংহের জন্মদিন পালন(ছবি – ফাইল)

   

           

কারণ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে রাজনৈতিক সৌজন্যতার অভাব রয়েছে।” তিনি রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, রাজনীতিতে এক নায়ক তন্ত্রের কুফল কি হয়?

।।বিজ্ঞাপন।।

সেটা বুঝা যায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালেই।” শচীন্দ্র পুত্র আশীষ লালের এই বক্তব্য রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *