“রাজ্যের সীমান্ত এলাকাগুলিতে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে উন্মুক্ত সীমান্তগুলিতে শুরু হয়েছে অতিরিক্ত নজরদারী। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাকে আরো অটোসাটো করতে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে যৌথভাবে টহলের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে মেজর স্ট্রাইকিং ফোর্স টিএসআরকে।”

ওপারের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে চলে আসছে সীমান্ত বেড়ার সামনে।
ডেস্ক রিপোর্টার,১২ আগস্ট।।
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সীমান্তে করা নজরদারি বিএসএফ কর্তৃপক্ষের। ভৌগোলিক ভাবে ত্রিপুরার তিন দিকেই বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ওপার সীমান্তে অস্থিরতা দেখা দিলে তার ঢেউ লাগে এপার সীমান্তেও ।গোটা বাংলাদেশেই হিন্দু নির্যাতন চলছে নিয়ম মেনেই। হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগমনে ওপারের হিন্দুদের নাভি শ্বাস উঠছে। প্রতিদিন হিন্দুদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, অপহরণ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। আর তাতেই চাপ বাড়ছে এবার সীমান্তে। ওপারের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে চলে আসছে সীমান্ত বেড়ার সামনে । তারা বেড়া ডিঙ্গিয়ে এবারে প্রবেশের চেষ্টা করছে। অবশ্যই বিএসএফ তাদের আটকে দিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের ইন্দো -বাংলা সীমান্ত এখন অতি স্পর্শ কাতর হয়ে উঠছে।

রাজ্যের সীমান্ত এলাকাগুলিতে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে উন্মুক্ত সীমান্তগুলিতে শুরু হয়েছে অতিরিক্ত নজরদারী। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাকে আরো অটোসাটো করতে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে যৌথভাবে টহলের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে মেজর স্ট্রাইকিং ফোর্স টিএসআরকে। বিএসএফের সঙ্গে সীমান্ত এলাকাগুলিতে নিয়মিত ভাবে টহল দিচ্ছে টিএসআর। বিএসএফ – টি এস আর যৌথ বাহিনীর টহলের কথা স্বীকার করেছেন পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে।

এসপি জানিয়েছেন, সীমান্তের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত পুলিশ যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে বিএসএফের সঙ্গে কাজে লাগানো হয়েছে রাজ্যের মেজর ট্রাইকিং ফোর্স টিএসআরকে।
আরো খবর পড়ুন
বাংলাদেশে বিএনপি ও জামাত শিবিরের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলো অতি স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি ওপারের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভারতীয় ভূখণ্ডে আসার চেষ্টা করছে। তারা জড়ো হচ্ছে সীমান্ত বেড়ার সামনে। কিন্তু নিরুপায় বিএসএফ।আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশী হিন্দুদের ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া যায় না। তাই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন এলাকায় আসা ওপারের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে বুঝিয়ে সুজিয়ে পুনরায় পাঠিয়ে দেন।

ত্রিপুরার তিন দিকে থাকা বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে বিএসএফ – টিএসআর সহ সাদা পোষকের পুলিশ সক্রিয় ভাবে কাজ করছে। সর্বক্ষণ নজর রেখে চলছে বিএসএফের গোয়েন্দাও । ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাজপথে নেমেছে বিশ্ব ত্রাস জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অর্থাৎ আই এস । তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ভিত্তিক সমস্ত মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিও বিচরণ করছে গোটা বাংলাদেশ। স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই কারণেই বিএসএফ ও নিরাপত্তা বাহিনী ত্রিপুরা সীমান্তের উপর দিচ্ছে অতিরিক্ত ফোকাস।

ভারতীয় সীমান্তের কোথায় কোথায়ও বিএসএফ – বাংলাদেশের বিজিবির সঙ্গে যৌথ ভাবে টহল দিচ্ছে। এই সংক্রান্ত ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।