“বাংলাদেশে জামাত ,ইসলামিক স্টেট, হুজি , হিজবুত তাহেরীর সহ নানান জঙ্গি সংগঠন এবং পাক গুপ্তচর আই এস আই সক্রিয় হতেই কপালে ভাঁজ পড়ছে ত্রিপুরা সহ অসম ও পশ্চিম বাংলার। সংশ্লিষ্ট জঙ্গির সংগঠনের টার্গেটে রয়েছে ভারতের এই তিন রাজ্য।”
।।বাংলাদেশ সীমান্তে লাল সতর্কতা।।(ফাইল – ছবি)
বাংলাদেশের জামাত জঙ্গিরা এখন নানান কায়দায় ভারতের এই তিন রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করছে।ত্রিপুরার তিন দিকেই বাংলাদেশ সীমান্ত।
।।বিজ্ঞাপন।।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ আগস্ট।। গণ বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা দেশ জামাতের দখলে। প্রকাশ্যে চলে এসেছে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর সন্ত্রাসীরা। গোটা বাংলাদেশে সংহার শুরুর পেছনে কাজ করছে জামাত শিবিরের মস্তিষ্ক। সঙ্গে বিএনপি। আর সর্বপরি পর্দার আড়ালে থেকে জামাত – বিএনপিকে ট্রাম কার্ড করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে নিজেদের বিষ দাঁত বসিয়েছে আমেরিকা। এই ব্লু প্রিন্ট এখন আন্তর্জাতিক মানচিত্রে উন্মুক্ত দলিল।
আমেরিকার এই জঘন্য খেলার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে জামাত – বিএনপি। আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করার নামে নিজেদের ঝুলি থেকে বের করেছে হিন্দু বিদ্বেষের ডিনামাইট। তার জেরেই গোটা বাংলাদেশে হিন্দুদের দেখে দেখে খুন ,তাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া।হত্যা করে হিন্দুদের ঝুলিয়ে দেওয়া। হিন্দু মেয়েদের প্রকাশ্যে অপহরণ করে ধর্ষণ,খুন সহ বাড়িঘর দোকান পাটে নির্বিচারে লুটপাট সবই হয়েছে নিয়ম মেনে।এখনো চলছে। এই সমস্ত অপরাধ জনিত ঘটনা স্বীকার করেছেন খোদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মোঃ ইউনুস।
জামাত – বিএনপি -র কাছে ইউনূসের সরকার একটা মলিন কলাপাতা।
বাংলাদেশের রাজনীতিকরা বলছেন, জামাত – বিএনপি -র কাছে ইউনূসের সরকার একটা মলিন কলাপাতা। কারণ ইউনুস সরকারে বসার পরপরই বিএনপি ঢাকার রাজপথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে।এখনো বাংলাদেশে প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। পুলিশ থানা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ কর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দী করা হচ্ছে। গোটা বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতিতে জামাত জঙ্গিরা সঙ্গে পেয়ে গিয়েছে বিশ্ব ত্রাস জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে। বিশ্বের সমস্ত ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি এখন অবস্থান করছে ঢাকাতে।ইতিমধ্যে তারা ঢাকাতে মিছিলও করেছে।
।।বিজ্ঞাপন।।
বাংলাদেশে জামাত ,ইসলামিক স্টেট, হুজি , হিজবুত তাহেরীর সহ নানান জঙ্গি সংগঠন এবং পাক গুপ্তচর আই এস আই সক্রিয় হতেই কপালে ভাঁজ পড়ছে ত্রিপুরা সহ অসম ও পশ্চিম বাংলার। সংশ্লিষ্ট জঙ্গির সংগঠনের টার্গেটে রয়েছে ভারতের এই তিন রাজ্য।
।।বিজ্ঞাপন।।
গোয়েন্দার খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের জামাত জঙ্গিরা এখন নানান কায়দায় ভারতের এই তিন রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করছে।ত্রিপুরার তিন দিকেই বাংলাদেশ সীমান্ত। এপার সীমান্তে জারি করা হয়েছে লাল সর্তকতা।গত এক মাস ধরে গোটা রাজ্যে প্রচুর বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী,ধৃতদের করা হয়েছে পুশ ব্যাক।কিন্তু পুশ ব্যাক করা বাংলাদেশীদের অধিকাংশ থেকে যায় রাজ্যে। অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের এমটিএফ শাখা বাংলাদেশীদের পুশব্যাকের নামে করেছে বেলাল্লাপনা।
।আগরতলা রেল স্টেশনে ধৃত বাংলাদেশী।(ছবি – নিজস্ব)
গোয়েন্দার বক্তব্য, ধৃত বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রচুর জামাত সদস্য থাকতে পারে।এরা ত্রিপুরায় এসে আসাম, বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে।তারা এখন যেকোনো সময় ভারতে নানান নাশকতা মূলক কার্যকলাপ চালাতে পারে।
মামুন মিয়া থেকে মুনির খান। আব্দুর রহমান কাইয়ূম থেকে সুইসাইড স্কোয়ার্ড সগদ আলী এই সমস্ত জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় ত্রিপুরাকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করেছিল।
।।প্রতীকী ছবি।।
জামাত সহ বাংলাদেশ ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন গুলির সফট টার্গেটে ত্রিপুরা। এর আগেও জামাত, হুজি, আল কায়েদার জঙ্গি সহ আই এস আই এজেন্টরা ত্রিপুরাকে করিডোর করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অপরাধ সংঘটিত করেছিলো। এই সংক্রান্ত বহু তথ্য প্রমাণ রয়েছে। মামুন মিয়া থেকে মুনির খান। আব্দুর রহমান কাইয়ূম থেকে সুইসাইড স্কোয়ার্ড সগদ আলী এই সমস্ত জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় ত্রিপুরাকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করেছিল।এবারও জামায়েত ইসলামী জঙ্গিরা নিরাপদে ত্রিপুরাকে করিডোর করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত করতে পারে অপরাধ।
।।বিজ্ঞাপন।।
জামাত সহ ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি ভারত বিরোধী শক্তি।তার মধ্যে হিন্দুবাদী দল বিজেপিকে কোনো ভাবেই তারা সহ্য করতে পারেনি। ত্রিপুরায় অপরাধ সংঘটিত করে জামাত জঙ্গিরা নতুন করে তাদের শক্তির জানান দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ গোয়েন্দার।
রাজ্য পুলিশ – গোয়েন্দা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সহ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী জামাত সহ ইসলামিক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গতিবিধির উপর নজর রেখে চলছে। ভারতীয় গোয়েন্দার রাডারে রয়েছে জামাত সহ আই এস জিঙ্গ সংগঠন।সক্রিয় রাজ্য পুলিশ।
।।বিজ্ঞাপন।।
ভারত ভূ-খন্ডে বিশ্বের ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন আই এস ও তাদের দোসরদের কার্যকলাপ তক্কে তক্কে নজর না রাখতে পারলে তারা যেকোনো সময় বাজিয়ে দিতে পারে বিপদের ঘন্টা। কারণ এখন ভারতে ধ্বংসলীলা চালানোই এই সমস্ত ইসলামিক জঙ্গিদের মূল টার্গেট।