রাতে জনজাতি অংশের দুষ্কৃতীরা প্রচন্ড ভাবে মারধর করেছিলো গণ্ডাছড়ার এসডিএম চন্দ্র জয় রিয়াং’র গাড়ির চালক সুখ রঞ্জন বৈরাগীকে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেও গণ্ডাছড়া থানায় কোনো মামলা হয় নি।
।আহত সুখ রঞ্জন বৈরাগী।
১২- জুলাইয়ের ঘটনা ইতিমধ্যে তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাঘব বোয়ালদের আনুষ্ঠানিক ভাবে সামনে আনতে ব্যর্থ পুলিশ। সন্দেহ মূলক ভাবে কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছিলো।কিন্তু চাপের মুখে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।
ক্রাইম ব্রাঞ্চ দফায় দফায় ঘটনাস্থলে এলেও মামলার তদন্ত অগ্রসর হয় নি।
ডেস্ক রিপোর্টার ,২৭ অক্টোবর।। গত ১২- জুলাইয়ের ঘটনা কেন্দ্র করে এখনো তপ্ত গণ্ডাছড়া। এদিনের হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্তে দফায় দফায় মহকুমা সফর করছেন ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গত ২৪ অক্টোবর চার ক্রাইম ব্রাঞ্চ – র চার সদস্যের টিম গণ্ডাছড়া সফর করেছিলেন। তার মধ্যে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো অবস্থা ২৩ অক্টোবরের রাতের ঘটনা। এদিন রাতে জনজাতি অংশের দুষ্কৃতীরা প্রচন্ড ভাবে মারধর করেছিলো গণ্ডাছড়ার এসডিএম চন্দ্র জয় রিয়াংযের গাড়ির চালক সুখ রঞ্জন বৈরাগীকে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেও গণ্ডাছড়া থানায় কোনো মামলা হয় নি। এসডিএম চন্দ্র জয় রিয়াং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। সব মিলিয়ে গণ্ডাছড়ার পরিস্থিতি কোনো ভাবেই অনুকূলে নেই ।যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরো বিগড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন।
১২- জুলাইয়ের ঘটনা ইতিমধ্যে তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাঘব বোয়ালদের আনুষ্ঠানিক ভাবে সামনে আনতে ব্যর্থ পুলিশ। সন্দেহ মূলক ভাবে কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছিলো।কিন্তু চাপের মুখে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।বর্তমানে মামলার তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক দফায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ- র আধিকারিকরা ছুটে গিয়েছেন গণ্ডাছড়াতে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ কিছুই হয় নি। তারাও নানান কারণে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে।
স্থানীয় জনজাতি অংশের মানুষ বাঙালিদের করে থেকে নানান কটুক্তি।
।।গণ্ডাছড়ার ধংস লীলা।।
পুলিশ সদর দফতরের খবর, গত ২৪ অক্টোবর ক্রাইম ব্রাঞ্চের চার সদস্যের একটি টিম গন্ডাছড়াতে গিয়েছিলেন।তারা গন্ডাছড়া থানার পুলিশকে নিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শনও করেন।কথা বলে লোকজনের সঙ্গে।এরপর থানা পুলিশের কাছ থেকে করেছে নতুন কিছু তথ্য সংগ্রহ। গন্ডাছড়ার বাসিন্দাদের বক্তব্য, ক্রাইম ব্রাঞ্চ দফায় দফায় ঘটনাস্থলে এলেও মামলার তদন্ত অগ্রসর হয় নি। তারা বারবার প্রসব করছে অশ্ব ডিম্ব। ফলে ১২ জুলাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এখনো আছে বহাল তবিয়তে। এই কারণেই দিন দিন গন্ডাছড়াতে বাড়ছে নিরাপত্তার ঝুঁকি। সাধারণ মানুষ এখনো ভুগছে নিরাপত্তা হীনতায়।
।।বিজ্ঞাপন।।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প হয় নি। অভিযোগ, স্থানীয় জনজাতি অংশের মানুষ বাঙালিদের করে থেকে নানান কটুক্তি। এই নিয়েও গন্ডাছড়ার বিভিন্ন জায়গাতে হঠাৎ হঠাৎ- ই পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে উঠছে। এটা কোনও ভাবেই রাজ্যের মঙ্গল দায়ক নয়।
।।তারা আজও আছেন বিচারের আশায়।।
কান পাতলেই শোনা যায়, গণ্ডাছড়াতে জ্বলতে থাকা আগুনে যে কোনো সময় আরো ঘী ঢেলে দিতে পারে জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাধারণ জনজাতি অংশের মানুষকে লেলিয়ে দিয়ে ফের গণ্ডাছড়াতে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র করছে স্বার্থনেশী রাজনৈতিক নেতারা। তারপরও প্রশাসন কেন নির্বিকার? জনমনে উঠছে প্রশ্ন।