গঙ্গানগর থেকে জগবন্ধু পাড়া এই সড়কেই ঘটছে লুটের ঘটনা। সন্ধ্যার পর পণ্য বোঝাই গাড়ি এই রুটে প্রবেশ করলেই দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়তে হয়।
গত ২সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিক ভাবে গাড়ির পণ্য লুট শুরু হয়েছিলো । সেপ্টেম্বর মাসের পাঁচ তারিখও লুট হয় গাড়িতে থাকা পণ্য। এরপর নিয়মিত ভাবেই দুষ্কৃতীরা রাতের আধারে তাদের এই কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।তারা পরপর চারটি গাড়ির পণ্য একই কায়দায় লুট করেছে। চলতি মাসের গত সপ্তাহে দিনের বেলাতেই লুট হয়েছে তিনটি গাড়ি।
ভয়ে মুখ খুলছে না গাড়ির মালিক ও চালক সহ ব্যবসায়ীরা।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ অক্টোবর।। রাজ্যে কি ফের জাকিয়ে বসেছে জঙ্গল রাজ? গত এক মাসে গন্ডাছড়া-আমবাসা সড়কে নয়টি গাড়ি থেকে পণ্য লুট করেছে দুষ্কৃতীরা। তারপরও সংশ্লিষ্ট সড়কে নিষ্ক্রিয় পুলিশ নেই কোনো জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভয়ে মুখ খুলছে না গাড়ির মালিক ও চালক সহ ব্যবসায়ীরা।গাড়ি থেকে পণ্য লুটের আতঙ্কে এই রুটে সন্ধ্যার পর গাড়ি চালাতে ভরসা পাচ্ছেন না চালকরা। আশঙ্কা যে কোনো সময় দুষ্কৃতীরা গাড়ির চালক,সহ-চালকের জীবন হানী করতে পারে। গাড়ির মালিক ও চালকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে গঙ্গা নগর থানা ও গণ্ডাছড়া থানাকে জানানো হয়েছে। তারপরও পুলিশের কোনো হেলদোল নেই। গোটা ঘটনার পেছনে গভীর রহস্য রয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ধলাই জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিক ভাবে গাড়ির পণ্য লুট শুরু হয়েছিলো । সেপ্টেম্বর মাসের পাঁচ তারিখও লুট হয় গাড়িতে থাকা পণ্য। এরপর নিয়মিত ভাবেই দুষ্কৃতীরা রাতের আধারে তাদের এই কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।তারা পরপর চারটি গাড়ির পণ্য একই কায়দায় লুট করেছে। চলতি মাসের গত সপ্তাহে দিনের বেলাতেই লুট হয়েছে তিনটি গাড়ি।
অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়ি গুলির পথ অবরোধ করা হয়।
গাড়ির মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গঙ্গানগর থেকে জগবন্ধু পাড়া এই সড়কেই ঘটছে লুটের ঘটনা। সন্ধ্যার পর পণ্য বোঝাই গাড়ি এই রুটে প্রবেশ করলেই দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়তে হয়। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়ি গুলির পথ অবরোধ করা হয়। এরপর গাড়ির চালক, সহ- চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পণ্য বোঝাই গাড়িতে থাকা চাল, ডাল, আলু,পেঁয়াজ , আটা,ময়দা,চিনি, বেবি ফুড সহ অন্যান্য জিনিস নামিয়ে নেয়।
।।বিজ্ঞাপন।।
চালকদের কথায়, গাড়িগুলিতে থাকা মোট পণ্যের ৩০ শতাংশ দুষ্কৃতীরা লুট করে দুষ্কৃতীরা।এরপর গাড়ি ছেড়ে দেয়। তাদের এই কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলেই চালকদের হত্যা ও পণ্য বোঝাই গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ির চালক ও সহ চালকদের মুখ বুজে দুষ্কৃতীদের অপরাধ মূলক কার্যকলাপ সহ্য করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। এই ঘটনা গঙ্গা নগর ও গণ্ডাছড়া থানার পুলিশকে কয়েকবার করে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে।ভয়ে গাড়ির মালিক ও চালকরা লিখিত ভাবে কোনো মামলা দায়ের করে নি। রহস্য জনক ভাবে পুলিশ প্রশাসনও দেখাচ্ছে দায় সারা মনোভাব।
চালকদের বক্তব্য, প্রথম দিকে তারা রাতের অন্ধকারে গাড়ির পণ্য লুট করতো।আর এখন দিনে দুপুরেই প্রকাশ্যে মূল সড়কে দাঁড়িয়ে গাড়িতে ডাকাতি করছে। এরা সবাই উপজাতি সম্প্রদায়ের।প্রশ্ন হচ্ছে, গন্ডাছড়া-আমবাসা সড়কে অস্ত্র হাতে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে পণ্য বোঝাই গাড়ি লুট করলেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? যারা লুট করছে,তারা কি সাধারণ উপজাতি? নাকি, পাহাড়ে নতুন কোনো জঙ্গি গ্রুপ অঙ্কুরোদগম হচ্ছে? যারা পন্য বোঝাই গাড়ি লুটের মাধ্যমে অপরাধ মূলক কার্যকলাপের সূচনা করছে? জনমনে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে এখন।