কৃষ্ণনগরের নাগধীরাজ একজন দাগী ‘ সমাজদ্রোহী'(!) এবং আর তার সাপুড়ে নাকি আরো বড় খেলোয়াড়।
এখন ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ” হট স্পট” কৃষ্ণনগর।আর এই বাণিজ্যের মাস্টার মাইন্ড নাগধীরাজ নামক এক ব্যক্তি। অর্থাৎ তাকেই এখন ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি নিগোসিয়েশন কারবারের “নাগ” বলা যায়। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে কৃষ্ণনগরের এই নাগের সাপুড়ে কে?
ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০ অক্টোবর।। ঊষা বাজারের সিপিডব্লিউডি নিগোসিয়েশন কেন্দ্র করে প্রাণ ঝরে ছিলো ভারত রত্ন সংঘের প্রাক্তন ক্লাব সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকির। ভিকির হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একে একে রাজু বর্মন সহ আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশনের মৃগয়া ক্ষেত্র ভারত রত্ন সংঘের ক্লাব ঘরও বোল্ডজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো প্রশাসন। উদ্দেশ্য নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ঝাঁপ বন্ধ করা। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে কি ঊষা বাজারের সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশন বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে? না। ব্যবসা বন্ধ হয় নি। বরং সিপিডব্লিউডি’ র নিগোসিয়েশন বাণিজ্যে এসেছে নতুন জোয়ার।
।।বিজ্ঞাপন।।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বারবার বলছেন, “নিগোসিয়েশন থেকে শুরু করে কমিশন বাণিজ্য এবং জমি দস্যুদের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়। পুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল। কিন্তু তারা “ছিঁচকে”। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যও মাফিয়া দমনে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর প্রশংসা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পুলিশের এই গর্জন সত্ত্বেও কিভাবে খোদ কৃষ্ণনগরে বসে ঊষা বাজারের “মধুর ভাণ্ড” সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের রিমোট কন্ট্রোল পরিচালনা করছেন নাগাধিরাজ?
।।বিজ্ঞাপন।।
এই নিগোসিয়েশন বাণিজ্যে নাগধীরাজ একজন “নাগে”র ভূমিকা পালন করছেন।কিন্তু এই নাগকে নিগোসিয়েশনের খেলার মাঠে কোন সাপুড়ে ছেড়ে দিয়েছেন ?এই সাপুড়ের বাজানো বাঁশীর তালে তালেই নাগধীরাজ সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশন ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
খুন হওয়া দুর্গা প্রসন্ন, কারাগারের চার দেওয়ালে দিন গুজরান করা রাজু বর্মন ও তার সাগরেদদের তো হাড় গুড় ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন। সিপিডব্লিউডি নিগোসিয়েশন বাণিজ্যে রাজু এখন অতীত। বর্তমানে কোটি কোটি টাকার নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ব্যাটন হাতে তুলে নেওয়া নাগধীরাজ ও তাঁর সাপুড়ের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ কি কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন?
।।প্রতীকী ছবি।।
তারাই এখন রোজগার করছে কোটি কোটি টাকা। সবটাই নিগোসিয়েশনের “কমিশন বাণিজ্য।
নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের অন্দর মহলের খবর অনুযায়ী, রাজু বর্মনকে জেলে পুড়ে দিয়ে নাগধীরাজকে সামনে রেখে প্রথম শ্রেণীর গৈরিক সেনারা ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশন বাণিজ্য শুরু করেছে। তারাই এখন রোজগার করছে কোটি কোটি টাকা। সবটাই নিগোসিয়েশনের “কমিশন বাণিজ্য। দূর্গা প্রসন্ন, রাজু বর্মন, বিমান দাসদের মুখ ছিলো “কালো”।তাদের পকেটে কোনো অর্থ ছিলো না। তাই তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিগোসিয়েশন বাণিজ্যে।সমাজের মানুষের চোখে তারা চির কাল ছিলো দাগি সমাজদ্রোহী। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতেও দ্বিধা বোধ করতো না। হালের নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের পিন কিং তথা কৃষ্ণনগরের এজেন্ট নাগধীরাজ সমাজের চোখে একজন অতি ভদ্র লোক। গণ্য মান্য ব্যক্তিও বটে (!)।
মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ কেন কৃষ্ণনগরের নাগ ও তার সাপুড়ের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ?
কিন্তু এই নাগধিরাজ কিভাবে আয়নায় ভদ্র মুখ সামনে রেখে ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশন বাণিজ্য পরিচালনা করছেন? তাহলে তো বলতেই হয় পিঠে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের “নাম খোদাই” করে দুর্গা প্রসন্ন, রাজু বর্মনকে যদি সমাজদ্রোহীর তকমা পেতে হয়,তাহলে কৃষ্ণনগরের নাগধীরাজও একজন দাগী সমাজদ্রোহী।এবং তার সাপুড়ে আরো বড় খেলোয়াড়। কারণ তাদের আপরাধও একই।এরাই বর্তমানে ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের হর্তাকর্তা বিধাতা।তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ কেন কৃষ্ণনগরের নাগ ও তার সাপুড়ের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ? ঊষা বাজারের জনমনে উঠছে প্রশ্ন।