ডেস্ক রিপোর্টার,২৪ এপ্রিল।।
পাকিস্তানে বিরুদ্ধে কি আরও বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করবে ভারত? নাকি, ফুঁস করেই হাত গুটিয়ে নেবে বিশ্বের চার নম্বর “সুপার পাওয়ার”? কাশ্মীরের পহেল গ্রামের ঘটনার পর দেশের সমস্ত অংশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সর্ব দলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রিয় সরকার।দেশের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে বৈঠক। এই সর্ব দলীয় বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। থাকবেন দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
গোটা দেশের মানুষ আশা করছেন, সর্বদলীয় বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত কঠোর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মোদ্দা কথা, যুদ্ধ ঘোষনা করবে ভারত। কারণ, ধর্মীয় পরিচয় জেনে জেনে পর্যটকদের হত্যার ঘটনা দেশের মানুষ মেনে নিতে পারছে না। তারা এর একটা বিহিত চাইছে। তবে এটা “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক” নয়। ভারতীয় সেনা লাহোরে প্রবেশ করে পাকিস্তানি সেনাদের মুণ্ড ছেদ করোক। এটাই চাইছে গোটা দেশ।

কিন্তু ভারত সরকার কি এই মুহূর্তে সরাসরি যুদ্ধের পথে হাঁটবে? নাকি কৌশলে পহেলগ্রামের হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের খোঁজে বের করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে? সবটাই এখন ধোঁয়াশা। কূটনৈতিকরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদীকে গোটা বিশ্বে হিন্দুর জনক হতে হলে এই মুহুর্তেই পাকিস্তানকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত করা ছাড়া বিকল্প পথ খোলা নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ধারাবাহিক নির্যাতনের পর বলা হয়েছিলো, ” এটা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়”। তা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি বাক্যও ব্যয় করেন নি। তবে, পহেলগ্রামের ঘটনার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ক কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট করেই বলেন, ” এই ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের পাতাল থেকে খোঁজে বের করে মারা হবে। তারা কোনো ভাবেই রেহায় পাবে না।”
#India #Pakistan #Kashmir #Pahelgram #Attack #JanatarMashal