“জঙ্গিদের ঘরের মধ্যে ঢুকে হত্যা করা হবে।”– প্রধানমন্ত্রী
ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালের ২রা জুলাই হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলাতেই ভারত – পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিলো। সিমলার নাম অনুসারে এই চুক্তির নাম হয়েছে। ভারতে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কাশ্মীরের পহেল গ্রামে জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করা হয়েছে হিন্দু পর্যটকদের। হিন্দুর হত্যা লীলার পর ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ভারত। গত ২২ এপ্রিল পহেলগ্রাম জঙ্গি হামলার পরই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরাসরি হুঙ্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ” জঙ্গিদের ঘরের মধ্যে ঢুকে হত্যা করা হবে।”
।সিমলা চুক্তির দলিল।
পাকিস্তান নিজের পায়ে নিজেই করেছে কুঠার আঘাত?
পহেল গ্রামের ঘটনার পর ভারত সরকার পাকিস্তানকে জব্দ করতে বেশ কিছু কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে দিশেহারা ইসলামাবাদ। পাল্টা পাকিস্তানও প্রত্যাঘাত করেছে কূটনৈতিক ভাবে। তার মধ্যে অন্যতম সিমলা চুক্তি? আনুষ্ঠানিক ভাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি বাতিল করেছে? তাতে কি ক্ষতি হবে ভারতের?নাকি, পাকিস্তান নিজের পায়ে নিজেই করেছে কুঠার আঘাত?
ইন্দিরা গান্ধী ও জুলফিকার আলী ভুট্টো
কি ছিলো সিমলা চুক্তি?
ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালের ২রা জুলাই হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলাতেই ভারত – পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিলো। সিমলার নাম অনুসারে এই চুক্তির নাম হয়েছে। ভারতে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির মূল লক্ষ্য কি ছিলো?
# ভারত – পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপন ও দুই দেশের সাধারন জনগণের উন্নয়নে কাজ করা।
# ভারত – পাকিস্তান উভয় দেশ জাতি সংঘের সনদের নীতি অনুসরণ করে চলবে।
# কোনও বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হলে কোনো পক্ষই তাদের স্থিতবস্তা থেকে সরবে না।উভয় দেশ আলোচনার টেবিলে বসে করবে সমস্যার সুরাহা।
# ভারত – পাকিস্তান উভয় দেশ একে অপরের আঞ্চলিক অখন্ডতা, সর্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রাখবে।
# প্রতিবেশীর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো দেশই হস্তক্ষেপ করবে না।
# এক দেশ পর দেশের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করবে না ঘৃণ্য বাক্য।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় পাকিস্তান কখনো সিমলা চুক্তিকে মান্যতা দেয়নি। তারা বারবার ভঙ্গ করেছে চুক্তি। কার্গিল যুদ্ধ থেকে মুম্বাই- র ২৬/১১। সংসদ হামলা থেকে উড়ি হামলা। এবং পুলওয়ামায় সেনা বাহিনীর হামলা থেকে সর্ব শেষ সংযোজন পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা। সর্ব ক্ষেত্রেই পাকিস্তান সিমলা চুক্তিকে ছিঁড়ে খেয়েছে। পহেল গ্রাম ঘটনার পর ভারতের কঠোর সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানও পাল্টা প্রত্যাঘাত করেছে কূটনৈতিক ভাবে। আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সিমলা চুক্তি সহ পাঁচটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
।।বিজ্ঞাপন।।
সিমলা চুক্তি ভাঙার ফল কি হবে?
সিমলা চুক্তি ভাঙার ফল কি হবে?আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকদের বক্তব্য, সিমলা চুক্তি ভাঙার ফল ভোগ করতে হবে পাকিস্তানকেই।
তাদের ভারতের কিছুই হবে না।
তাদের ভারতের কিছুই হবে না। ঘুরিয়ে বললে সিমলা চুক্তি বাতিল করে পাকিস্তান নিজেদের পায়েই কুঠারের আঘাত করেছে।