চুরাইবাড়ি ডেস্ক,২০ জুন।।
রাজ্যের গণ বন্টন প্রক্রিয়ায় ডাল সাপ্লাইয়ে চরম দূর্নীতি।টেন্ডার পাওয়া মহাবীর ডাল মিলস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে উঠেছে এই চরম অভিযোগ। বহিঃরাজ্য থেকে ট্রেনে করে নিয়ে আসা ডালের বস্তা ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য দপ্তরের গোডাউনে পৌঁছালে ৩০ কেজির বস্তায় মিললো ২৫/২৬ কেজি।তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ খাদ্য দপ্তরের গোডাউনের স্টোর কিপার ও শ্রমিকদের। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার চুরাইবাড়ি ফুড গোডাউনে।
তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার NL01Q-0109 নম্বরের একটি ট্রাকে করে গণ বন্টনের ডাল আসে চুরাইবাড়ি ফুড গোডাউনে। যথারীতি গোডাউনের শ্রমিকরা লরি থেকে ডালের বস্তা আনলোড করার সময় সন্দেহ হয়। শ্রমিকরা আঁচ করতে পারেন, বস্তায় থাকা ডালের পরিমান কম। সন্দেহ হওয়ার পর তারা ডালের বস্তা ওজন করে। তাতে দেখা যায় প্রতিটি বস্তাতে ৩০ কেজির পরিবর্তে আছে ২৫ কেজি করে।
ফুডের লেবার সর্দার বিব্রত দেব জানান,এভাবে ডালের বস্তাতে কখনো কম তাঁর চোঁখে পড়েনি। তিনি জানান, ডাল গুলি কদমতলা ব্লক এলাকার ৩৩টি রেশন শপে সহ কদমতলা আইসিডিএস’এ গণ বন্টনের জন্য জিরানিয়া থেকে এসেছে। বহিঃরাজ্য থেকে ট্রেনে করে মহাবীর ডাল মিলস প্রাইভেট লিমিটেড এই ডালের বস্তা পাঠিয়েছে রাজ্যে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে টেন্ডার মারফত এই সংস্থা গণ বন্টনের ডাল সরবরাহের বরাত পায়। লেবার সরদারের দাবি, লরিতে থাকা ৮৩৪ বস্তা ডালের মধ্যে প্রায় ৩০ কুইন্টাল ডাল কম রয়েছে।প্রতিটি বস্তা থেকে ডাল বের করে পুনরায় সেলাই দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছেন তারা ।
লরির চালক চিরঞ্জিত সরকার জানান, মহাবীর ডাল মিলস প্রাইভেট লিমিটেডের কারণে চালকদের হয়রানি হতে হচ্ছে। তাই ত্রিপুরা সরকার ও ফুট দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী যেন এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। চুরাইবাড়ি ফুট গোডাউনের স্টোর কিপার অচিন্ত্য পাল জানান, ৮৩৪ বস্তায় ২৫ মেট্রিক টন ২০ কেজি ডাল এসেছে ।তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মত বস্তায় ডাল কম রয়েছে। তাই তিনি যত কেজি ডাল কম পাবেন সেভাবেই বিলের কাগজে লিখে দিবেন। তার মতে এটা বড় ধরনের এক দুর্নীতি। যা তদন্ত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। খাদ্য দপ্তরের শ্রমিকরা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মহাবীর ডাল মিলস প্রাইভেট লিমিটেডের দুর্নীতি সামনে এসেছে। তবে এই দুর্নীতির সঙ্গে রাঘব বোয়ালরা জড়িত। সঠিক ভাবে তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে রাঘব বোয়ালদের মুখ।