যে দেশে বিখ্যাত বাংলা ছবির পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের বাড়িতে হামলা হয়, কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের বাড়িতে হামলা সংঘটিত হয়, সেই সেই দেশে রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে হামলা হবে না,এটা অবিশ্বাস্য।

ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা ।।
          ” একদিকে রবীন্দ্রনাথের গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গাইছে, অন্য দিকে রবীন্দ্রনাথের পৈত্রিক বাড়িতে হামলা। এই সংস্কৃতি লজ্জার।”- বক্তা রাজ্যের বৃহত্তর সাংবাদিক সংগঠন অ্যাসেম্বলি অফ  জার্নালিস্ট’স-র ( এওজে)সাধারণ সম্পাদক  শানিত দেবরায়। রবিবার শহরের রবীন্দ্র ভবন চৌমুহনীতে এওজে’র আয়োজিত প্রতিবাদ ও ধিক্কার  সভায় একথা বলেছেন তিনি।


গত ১০ জুন বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে কাছারিবাড়িস্থিত রবীন্দ্র নাথের পৈত্রিক বাড়িতে হামলা করেছিলো দুষ্কৃতীরা

গত ১০ জুন বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে কাছারিবাড়িস্থিত রবীন্দ্র নাথের পৈত্রিক বাড়িতে হামলা করেছিলো দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে দুই বাংলার মতো জ্বলে উঠে মেঘনা পাড়ের মুক্তি যুদ্ধের তীর্থভূমি ত্রিপুরার। রাজ্যের রাজ্যের বৃহত্তর সাংবাদিক সংগঠন অ্যাসেম্বলি অফ  জার্নালিস্ট’সও ইউনূসের দেশে রবীন্দ্র নাথের এই অপমান মেনে নিতে পারেনি। রাজ্যের একমাত্র সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে অ্যাসেম্বলি অফ  জার্নালিস্ট’স এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে।অবশ্যই অন্যান্য ভ্রাতৃপ্রতিম সাংবাদিক সংগঠন এওজে’ র এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে।


এদিনের প্রতিবাদ ও ধিক্কার সভায় এওজে’ র সাধারণ সম্পাদক তথা আজকের ফরিয়াদ পত্রিকার সম্পাদক শানিত দেবরায় তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, যে দেশে বিখ্যাত বাংলা ছবির পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের বাড়িতে হামলা হয়, কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের বাড়িতে হামলা সংঘটিত হয়, সেই সেই দেশে রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে হামলা হবে না,এটা অবিশ্বাস্য। বাস্তব অর্থে সেটাই হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলা দেশের প্রধান উপদেষ্টা মো: ইউনূস আজ পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলেন নি। এটা লজ্জার।


শানিত দেবরায়ের বক্তব্য, বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে বাঙালি ঐতিহ্যে আঘাত লাগলে তার প্রতিবাদে মুখর হয় এই রাজ্য।স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের পৈত্রিক বাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে এই রাজ্যের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী সহ সমস্ত অংশের মানুষ।
       

উপস্থিত শিল্পীরা তাদের গানে, কবিতায়, কথার মাধ্যমে প্রতিবাদ ও ধিক্কার সভার গরিমা বাড়িয়ে দেন।


অ্যাসেম্বলি অফ  জার্নালিস্ট’স- র প্রতিবাদ ও ধিক্কার সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজ্যের বরিষ্ঠ সম্পাদক সুবল দে।ছিলেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতিবাদ সভার সূচনা হয়। উপস্থিত শিল্পীরা তাদের গানে, কবিতায়, কথার মাধ্যমে প্রতিবাদ ও ধিক্কার সভার গরিমা বাড়িয়ে দেন। রাজ্যের জনপ্রিয় শিল্পী তিথি দেববর্মণ, সুদীপ্ত শেখর মিশ্র, অমর ঘোষ, রীতা চক্রবর্তী, সুব্রত দেবনাথ, উত্তর চক্রবর্তী, তনুময় বিশ্বাস, মধুরিমা ভট্টাচার্য্য সহ খুদে শিল্পী সঞ্চিতা চক্রবর্তী, অনুসুয়া দাস, প্রতিভা দাসরা  প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তার নিজের মতো করে,তাদের ভাষায়। পরিশেষে ছোট বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন এওজে- র সম্পাদক বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য। গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এওজে- র সদস্য প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *