ডেস্ক রিপোর্টার,৪নভেম্বর।।
সদ্য সমাপ্ত পুর ভোটে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে আত্ম-হারা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।তারা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি ভোট পেয়েছে। এই যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। ব্যাস, তাতে কোনো আপত্তি নেই কাউর।রাজ্যের কর্মী-সমর্থকরা খুশি। কিন্তু খুশির আবহের মধ্যেই মেঘের আড়ালে চলে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কাজ করতে গিয়ে জেলে অবস্থানরত দলীয় চার কর্মী।এখনো অনেক কর্মী বাড়ি ছাড়া। জেলা ও মহকুমার কর্মীরা এসে আশ্রয় নিয়েছে শহরের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে।আবার কেউ শহর থেকে চলে গেছে মফস্বলে নিরাপদ আশ্রয়ে।অথচ এই সমস্ত কর্মীদের কোনো খোঁজ করছেন না স্থানীয় ও বঙ্গ নেতৃত্ব। স্বাভাবিক ভাবেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহবায়ক সুবল ভৌমিক একবারও এই সকল আক্রান্ত কর্মীদের কোনো খোঁজ-খবর করছেন না।একই অবস্থা সুস্মিতা দেব থেকে শুরু করে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত। অভিষেক-মমতা এখন অন্য রাজ্যে গুটি সাজানোর কাজে মনোনিবেশ করেছেন।এটা তাদের নিজস্ব বিষয়।কিন্তু তাই বলে রাজ্যে আক্রান্ত আক্রান্ত কর্মীদের খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই? যারা বাড়ি ছাড়া তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো প্রয়োজন বোধ করছে দলীয় নেতৃত্ব।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে অনেক কর্মীকে ফোন করে পরিস্থিতি কথা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।এবং আগামী দিনে কি করা উচিত এই সম্পর্কে তাদের মতামত জানার চেষ্টা করছে।অথচ আক্রান্ত কর্মীদের জন্য কোনো বাক্য ব্যয় করছেন না নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা আজ অসহায়।অভিভাবকহীন। তাদের জীবন এখন ঘোর বিপদে।আর দলের নেতারা সাফল্যের খতিয়ান তুলে মুস্কি হাসি হাসছেন।
নির্বাচনের আগেই তেলিয়ামুড়াতে বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষের পর তৃণমূলের চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। তারা আজও জেলে। এই চার কর্মীকে জেল থেকে বের করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই সুবল-সুস্মিতাদের- অভিষেকের। এই ঘটনার কারণে ফুঁসছে তৃণমূল কর্মীরা। কর্মীরা এমনও হুমকি দিয়েছে, আগামী দিনে তৃণমূল নেতারা তেলিয়ামুড়াতে গেলে “তাদের” উপরেই হবে হাত-সাফাই।
