ডেস্ক রিপোর্টার,৩০জানুয়ারি।।
” এডিসি নির্বাচনে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুকে হাতিয়ার করে “হুজুকে” পাহাড় দখল করেছে তিপ্রামথা। জনজাতিদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তিপ্রামথা নেতৃত্ব।এবং রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির আবহ তৈরির প্রয়াস শুরু করেছে প্রদ্যুত কিশোরের এই দল।”—তিপ্রার বিরুদ্ধে সরাসরি এই অভিযোগ করেন এডিসির বিরোধী দল নেতা হংসরাজ ত্রিপুরা।
“যে সব জনজাতিরা বিজেপিতে আছেন,তারা তিপ্রাসা বিরোধী।”–পাহাড়ে এই বিষয়টি প্রচার শুরু করেছেন তিপ্রার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন।প্রদশ বিজেপি’র সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এডিসির বিরোধী দল নেতা হংসরাজ ত্রিপুরা এই অভিযোগ করেন প্রদ্যুত কিশোরের বিরুদ্ধে। হংসরাজ ত্রিপুরা বলেন, একমাত্র বিজেপি রাজ্যের জনজাতিদের উপযুক্ত সন্মান দিয়েছে। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের নামে বিমান বন্দর থেকে শুরু করে বড়মুড়া পাহাড়ের নাম পরিবর্তন। পাহাড়ের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছে বিজেপি।এডিসিতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ৩০কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।কিন্তু এই টাকা যথাযথ ভাবে ব্যবহার হচ্ছে না।
গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের নামে জনজাতিদের অবাস্তব স্বপ্ন দেখছেন প্রদ্যুত কিশোর।এখন পর্যন্ত গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের জন্য রাজ্যপাল, রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। শুধুমাত্র এডিসিতে নাম মাত্র একটি বিল পাশ করেছে।তবে এই বিলেরও কোনো বৈধতা নেই। অর্থাৎ কোনো ধরনের বৈধ ডকুমেন্ট ছাড়াই প্রদ্যুত গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের চিৎকার করছেন।কিন্তু কখনো সম্ভব হবে না।
হংসরাজ ত্রিপুরা বলেন, জনজাতিরা যে বিজেপি’র উপর আস্থাশীল তার প্রমান পাওয়া যায় বিধানসভা ও লোকসভার দিকে তাকালে। বিজেপি’র ১০জন জনজাতি বিধায়ক রয়েছে। একজন সাংসদ। এডিসিতে রয়েছেন ১০জন এমডিসি। আক্ষেপ করে হংসকুমার ত্রিপুরা বলেন, এডিসি নির্বাচনে শরিক দল আইপিএফটি কয়েকটা আসন পেলেই পাহাড়ের ক্ষমতা দখল করতে পারতো বিজেপি। প্রকারন্তে শরিক দল আইপিএফটিকেও কটাক্ষ করেন এডিসি’র বিজেপি’র বিরোধী দলনেতা।
রাজ্য বিজেপি’র সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায়।তিনি বলেন, এডিসি নির্বাচনের আগে নয় জন কার্যকর্তাকে সাময়িক কালের জন্য দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো।দলের কাছে তারা প্রত্যেকেই ক্ষমাপ্রার্থী হন।দলের রাজ্য সভাপতি ডা:মানিক সাহা সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কার্যকর্তাদের উপর থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে টিঙ্কু রায় বলেন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন দল বিরোধী কার্যকলাপ করছেন কিনা, তিনি বলতে পারবেন না।তার জন্য দলের ডিসিপ্ল্যানারী কমিটি রয়েছে।তাছাড়া রাজ্য প্রভারী ও সংগঠন মন্ত্রীরাও রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট নেতারাই দেখবে এই সমস্ত বিষয়।
