ডেস্ক রিপোর্টার,১১ফেব্রুয়ারি।।
রাজ্যের মানুষের মনে বড় আশা জাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় বারের মতো নিজেদের ইনিংস শুরু করেছিলো। সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর ভোটে মানুষ তার প্রমান দিয়েছিল।শূন্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র তিন মাসে পেয়েছিলো ২৩শতাংশ ভোট।কিন্তু এখন নানান কারণে আমজনতা সহ দলীয় কর্মী-সমর্থকরা আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর।এই অভিযোগ সরাসরি তুলছে দলীয় নেতা-কর্মীরা।কারণ তৃণমূল কংগ্রেস নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখতে পারছে না।
রাজ্যের তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, ত্রিপুরায় বিজেপি’র একমাত্র বিধায়ক আশীষ দাস পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। আশীষ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার আগে তাকে দেওয়া হয়েছিলো নানান প্রতিশ্রুতি। আশীষের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কলকাতায় ফ্ল্যাট দেওয়া এবং তার জন্য গ্রীন জোন তৈরি করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো বঙ্গ তৃণমূলের পক্ষ থেকে।কিন্তু কিছুই নাকি করেনি তৃণমূলের বঙ্গ নেতৃত্ব।ইতিমধ্যে আশীষ দাসের বিধায়ক খারিজ হয়ে যায়। একজন বিধায়ক হিসাবে যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা তাঁর পাওয়ার কথা ছিলো, সবই শেষ।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী ১২ফেব্রুয়ারির আশীষ দাসকে তাঁর সরকারী আবাস ছাড়তে হবে। এই সংক্রান্ত নোটিশ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পৌঁছে গেছে আশীষ দাসের হাতে।এখন আগরতলাতে থাকার মতো আশীষ দাসের কোনো জায়গা নেই।এই মুহূর্তে প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা তাঁর পরিবার নিয়ে পড়েছেন অকুল পাথরে।
রাজ্যের তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, আশীষ দাসের এই সংক্রান্ত খবর জানার পরও দলীয় নেতৃত্ব কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।তারা আশীষ দাস সম্পর্কে কোনো খোঁজই রাখছেন না। আগামী দিনে তাঁর পাশে দাঁড়াবেন কিনা,তাঁর কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রদেশ তৃনমূল কংগ্রেসের মধ্যেও আশীষ দাস কোণঠাসা।তাঁকে এখনো যোগ্য সন্মান দিতে পারেনি দল। সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন আশীষ দাস।কিন্তু তাঁর এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়ায়নি দল।
কর্মীদের বক্তব্য, আশীষ দাস একজন বিধায়ক ছিলেন।তাঁর সঙ্গে দল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।একই ভাবে বঙ্গ নেতৃত্ব সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কর্ণপাত করছেন না। অথচ প্রতিদিন ত্রিপুরাতে কমছে দলের জনপ্রিয়তা।স্বাভাবিক ভাবেই দলীয় কর্মীরা বিতশ্রদ্ধ।আস্থা রাখতে পারছে না বঙ্গ নেতৃত্বের উপর।এমন আভাস ভেসে আসছে প্রদেশ তৃণমূলের অন্দর মহল থেকে।

One thought on “১২-ই আশীষকে সরকারী আবাস ছাড়ার নির্দেশ। তৃণমূলে আস্থা ভঙ্গ প্রাক্তন বিধায়কের।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *