ডেস্ক রিপোর্টার,২৫মে।।
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে প্রথম দিল্লি সফরে গেলেন ডা: মানিক সাহা। দেশের রাজধানীতে গিয়ে বিজেপি’র প্রথা অনুযায়ী তিনি প্রথমে সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে।
বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ’র সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাতকারকালে রাজ্যের সার্বিক বিকাশ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবগত করেন।
এবং তাঁর সার্বিক সহযোগিতার জন্য
অনুরোধ করেন।’স্বদেশ দর্শন’ প্রকল্পে অনুমোদিত শ্রীশ্রীমাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মায়ের মন্দির চত্বরের সৌন্দর্যায়ন এবং পরিকাঠামোগত নির্মান কাজের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী।দেবীর দর্শন এবং ত্রিপুরা সফরের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে। মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত বার্তা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ পর্বের শেষে মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা সাক্ষাৎ করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন,”রাজ্যে একটি সৈনিক স্কুল স্থাপন,নিশ্চিন্তপুরে ইন্টিগ্রেটেট চেক পোস্ট স্থাপন এবং ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারে ফেন্সিংয়ের অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করেছেন।রিয়াং উদ্বাস্তু (ব্রু) পূনর্বাসনের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে অতি দ্রুত সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে”।
তৃতীয় পর্বে মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা সাক্ষাৎ করেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে। আলোচনা হয় রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। আলোচনা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয় বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
রাজ্যের নবাগত মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন,”পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ১২০০ কোটির নতুন তহবিল, বিশ্বব্যাংক সংযোজিত জনজাতি অধ্যুষিত ব্লকগুলিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিষেবা বিষয়ক প্রকল্পে, ডিসেম্বর ২০২২ সালের আগে রাজ্য সরকারকে চুক্তি স্বাক্ষরে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আন্তরিক বিবেচনার জন্য দৃষ্টিআকর্ষণ, ত্রিপুরা “ELEMENT” প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন সহ ত্রিপুরায় ল্যান্ডস্কেপ এবং ইকোসিস্টেম ব্যবস্থাপনা উন্নীতকরণ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।”
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কৌশলগত নীতি অনুসারে আঞ্চলিক সহায়তার চিহ্নিত ক্ষেত্রে প্রকল্প সমূহের দ্রুত রুপায়নের জন্য অর্থমন্ত্রকের কাছেও সহায়তা প্রার্থনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।