ডেস্ক রিপোর্টার,৩০মে।।
“চিটফান্ডের সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো বিজেপি। কিন্তু পূরণ করা হয়নি এই প্রতিশ্রুতি।বরং চিটফান্ডের বিল্ডিং দখল করে সরকার স্মার্ট সিটির অফিস বসিয়েছে।” বক্তা কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। সোমবার বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রে এক যোগদান সভায় একথা বলেন তিনি।
সুদীপ রায় বর্মনের বক্তব্য, চিটফান্ডের প্রচুর সম্পত্তি পড়ে আছে।কিন্তু বিজেপি সরকার ইচ্ছা করলেই,সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা মিটিয়ে দিতে পারতো।অথচ বিজেপি সরকার সেই পথে হাটে নি। রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করলেই চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত অভিযুক্তদের জেলে দেওয়া হবে? কিন্তু কোথায়? কিছুই হয়নি।
রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন বলেছেন, বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সরকার গঠন করলে প্রথম ক্যাবিনেটে সপ্তম পে-কমিশন দেওয়া হবে কর্মচারীদের। এক্ষেত্রেও বিজেপি সরকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। ৩১শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে এখনো।কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারীদের আরো চার শতাংশ ডিএ প্রদান করবে।ফলে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ’র পরিমান হবে ৩৫শতাংশ।
রাজ্যে সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে সুদীপ রায় বর্মন বলেন, এই সরকার যুবকদের জন্য কোনো কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করেনি। দেয়নি কোনো চাকরী। পুরোপুরি ব্যর্থ এই সরকার। প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রে ১১৭ পরিবারের ৫২০জন ভোটার যোগ দিয়েছে কংগ্রেসে।ভোটাররা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে শামিল হয়েছে। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সুদীপের হাত ধরে এদিনই বাগমাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভোটার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। তাতে অবশ্যই ক্ষতি হয়েছে বিজেপি’ই এবং লাভবান কংগ্রেসের। রাজনীতিকরা বলছেন,কংগ্রেস সারা রাজ্যে আগামী কয়েক মাস এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে খুব দ্রুত বিজেপি’র আকাশে যে অশনি সংকেত নেমে আসবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
