ডেস্ক রিপোর্টার,১৭জুন।।
উপভোট কেন্দ্র করে রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রেই জোর কদমে প্রচার চলছে সবকয়টি রাজনৈতিক দলের। শাসক- প্রধান বিরোধী থেকে শুরু করে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের প্রচারে ঝড় তুলেছে।
বৃহস্পতিবার ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে বাম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিন জিতেন্দ্র চৌধুরী নাম না করে বকলমে আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন,” বিজেপি নামক কুমিরকে যারা খাল কেটে এই রাজ্যে নিয়ে এসেছে, তারাই এখন বলছে কুমির তাড়াবে! এটা আরেকটা ভাঁওতাবাজি।”
রাজনীতিকদের বক্তব্য, জিতেন্দ্র চৌধুরী স্মার্ট ভাবে সুদীপ-আশীষদের দিকে আক্রমণের ফলা তাঁক করেন। কেননা, তারাই একসময় বামেদের পতন ঘটাতে গিয়েছিলো বিজেপিতে। এবং ১৮-র নির্বাচনে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করে মসনদে বসেছিলো বিজেপি।
সুদীপ-আশীষরা এখন বিজেপি’র সঙ্গ ত্যাগ করে ফের কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।তারা এখন বিজেপি’র বিরুদ্ধে কোমড় কেছে নেমেছে। তারা প্রকাশ্যে বলছে, ২৩-এ বিজেপি’র পতন ঘটাতে হবে। প্রয়োজনে সমস্ত বিরোধী শক্তিকে এক মঞ্চে আসার আহ্বান করছেন। এই কারণেই সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক ঘুরিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকেই নিশানা করেছেন।
জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, যারা এখন বলছে বিজেপিকে তাড়াবে তাদের কথায়ও বিশ্বাস যোগ্যতা নেই। বাস্তব অর্থে বিকল্প হচ্ছে সিপিআইএমই। কারণ সিপিআইএম এই রাজ্যে একটানা ২৫বছর রাজ্যে সু-শাসনের নজির রেখেছে। এখন বিজেপি’র শাসনে রাজ্যে নেই গণতন্ত্র। গোটা রাজ্যে চলছে অপশাসন।নেই কর্মসংস্থান। মানুষ এখন দিশেহারা। শহর থেকে সমতল,গ্রাম-পাহাড়, সব জায়গাতেই একই অবস্থা। ভেঙে পড়েছে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থাও। তাই উপভোটে বামফ্রন্টকে ভোট দেওয়ার জন্যই ভোটারদের কাছে আবেদন জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী।
এদিকে সিপিআইএম নেত্রী কৃষ্ণ রক্ষিত অভিযোগ করেন, ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএমের প্রচার সজ্জা নষ্ঠ করেছে দুস্কৃতিরা। কৃষ্ণার অভিযোগের তির বিজেপি’র দিকে।আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার নষ্ট করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে রামনগর ফাঁড়ির সামনে সিপিআইএম কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। নেতৃত্বে ছিলেন কৃষ্ণা রক্ষি
