ডেস্ক রিপোর্টার,২৭জুন।।
১৮- র বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের পরাজিত করে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। বিজেপি জামানায় ১৯-এ লোকসভা নির্বাচন। পরবর্তী সময়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরো ও নগর এবং এডিসি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।সদ্য সমাপ্ত হয়েছে রাজ্যের বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। প্রতিটি নির্বাচনের পরেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিএম সরব হয়েছে সন্ত্রাস নিয়ে। বিরোধী দলের অভিযোগ, বিজেপির সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ।বাম জামানায় রাজ্যে ভোট হত উৎসবের মেজাজে। কিন্তু বিজেপির জামানায় ভোটের অপর নাম প্রহসন। প্রতিটি ভোটের শেষেই সাংবাদিক সম্মেলন করে সন্ত্রাস নিয়ে সুর চড়ান বাম নেতৃত্ব। সদ্যসমাপ্ত উপ ভোটের পরেও একই কায়দায় বামেরা গেরুয়া শিবিরের সন্ত্রাসের উপাখ্যান নিয়ে গলা ফাটিয়েছেন।
দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম জামানায় রাজ্যে কি সন্ত্রাস হয়নি? প্রশ্ন রাজনৈতিক থেকে শুরু করে আমজনতার। বাম জামানার সন্ত্রাসের বহু নিদর্শন আজও জ্বলজ্বল করছে রাজনীতির ইতিহাসে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে খুন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা। রাজনৈতিক কারণে ধর্ষিতা হয়েছে বহু নারী।থানায় রাখেনি মামলা।আর বিরোধী দল করার অপরাধে হাত ফেলে দেওয়া।হাতের আঙ্গুল কেটে নেওয়া, ঘাড়ে কূপ দেওয়া, ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করা, বোমা বিস্ফোরণ, রাতের আঁধারে সংঘ বদ্ধ ভাবে বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর, ইটপাটকেল ছোড়া এধরনের ঘটনা হামেশাই বাম জমানায় সংঘটিত করে থাকতো হার্মাদ বাহিনীর ক্যাডাররা। তাদের অত্যাচার আজও ভুলিনি রাজ্যের মানুষ। শহর থেকে সমতল গ্রাম থেকে পাহাড় সব জায়গাতেই এই দৃশ্য পরিলক্ষিত হতো।
উপ ভোটের পর বামেরা যখন বিজেপির সন্ত্রাস নিয়ে সরব হয়েছে, তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ছবি নিয়ে পাল্টা তরজা শুরু করেছে বিজেপি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাম জমানায় অত্যাচারিত এক ব্যক্তি কিছু ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে দেখা যায় সেই ব্যক্তির দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠগুলি নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি পোস্ট করে হার্মাদ বাহিনীর সন্ত্রাসের উপাখ্যান তুলে ধরেন অত্যাচারিত ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, তৎকালীন সময়ে তার এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর (ছবি সমেত) তিনি তুলে ধরেন প্রমাণ স্বরূপ।
বাম জমানায় অত্যাচারিত ব্যক্তিটি দাবি করেন, শুধুমাত্র বিরোধীদল করার অপরাধে তাঁর উপর নেমে এসেছিল হার্মাদ বাহিনীর সন্ত্রাসের নগ্ন রূপ সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে হার্মাদ বাহিনীর ক্যাডাররা তার বাড়িতে প্রবেশ করে দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ কেটে দিয়েছিলো সামনে ছিল তার গোটা পরিবারের লোকজন হার্মাদ বাহিনীর রুদ্র রোষে কিছুই করতে পারিনি তার পরিবারের লোকজন চোখের সামনেই হাতের আঙ্গুল কাটার ফলে অসহ্য যন্ত্রণায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খান তিনি। এই পরিস্থিতিতেও হার্মাদ বাহিনি এই ব্যক্তিকে ঘরে আটক করে রেখেছিল হাসপাতালে যাওয়া রোগ কোন সুযোগ দেয়নি । অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের পর একসময় ঘরের মধ্যে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। হার্মাদ বাহিনী এই ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে তার বাড়ি থেকে চলে যান।এরপর গোপনে তাকে পরিবারের লোকজন নিয়ে যায় হাসপতালে।
বাম জমানায় অত্যাচারিত এই ব্যক্তি তার অত্যাচারের উপাখ্যান তুলে ধরে বলেন, সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির বিরোধিতা করা বাম নেতৃত্বের শোভা পায় না। কারণ বামের এই রাজ্যে সন্ত্রাসের স্রষ্টা। তাদের হাত ধরেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের নতুন ডাইমেনশন এসেছিল রাজ্যে। আর এখন তারাই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে ফাঁকা আওয়াজ করছে। বামেরা ফের ক্ষমতায় এলে মানুষ দেখতে পাবে সন্ত্রাসের আধুনিক রূপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *