ডেস্ক রিপোর্টার,৪জুলাই।।
সংসদীয় রাজনীতির অঙ্গন থেকে ভোটে জয়ী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। তিনি দলের সভাপতির দায়িত্বে আছেন বর্তমানে। ২৩- এ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রদেশ বিজেপির নতুন সভাপতির দায়িত্বে আসবে নতুন মুখ।কারণ ডা: মানিক সাহা এখন নিশ্চিত ভাবে ২৩র বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ত্ব সামলাবেন।স্বাভাবিক ভাবেই দল পরিচালনার জন্য দরকার একজন সভাপতি। ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে দলকে এতো সময় দেওয়া সম্ভব হবে না। সব মিলিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রদেশ বিজেপির সভাপতির চেয়ারে আসছে নতুন মুখ।এটা পরিষ্কার
কে হচ্ছেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি? দৌড়ে রয়েছেন চার জন। প্রথম নাম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তবে বিপ্লব কুমার দেবকে রাজ্য সভায় পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের।যদি বিপ্লব কুমার দেবকে সভাপতি না করা হয়,তাহলে কে হতে পারেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি? দ্বিতীয় নাম মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল।”মাঝখানে সভাপতির দৌঁড়ে ছিলেন কিশোর বর্মন।কিন্তু দলের নেতা – কর্মীদের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে কিশোর বর্মনের জনপ্রিয়তা কম।কিশোর এখনো সবাইকে চিনে উঠতে পারেন নি। তাই ২৩এর ভোট যুদ্ধের আগে কিশোরকে সভাপতি করে রিস্ক নিতে চাইছে না প্রদেশ বিজেপি।” বক্তব্য নেতৃত্বের।

প্রদেশ বিজেপির সভাপতি হিসাবে উকি দিচ্ছে রাজীব ভট্টাচার্য্যের নাম। বিপ্লব কুমার দেব সভাপতি না হলে, সভাপতির দৌঁড়ে থাকবেন রামপ্রসাদ পাল, কিশোর বর্মন ও রাজীব ভট্টাচার্য। তাদের মধ্যে দাড়ি পাল্লার দুই দিকে দাড়িয়ে আছেন কিশোর ও রামপ্রাসাদ।খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে রামপ্রসাদ পাল দিল্লিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।যোগাযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে।দলের একাংশ নেতা – কর্মীর মধ্যে রামপ্রসাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে। দলের নেতা- কর্মীদের তিনি জানেন,চেনেন।দলের মধ্যে সিনিয়র।সব কিছু বিবেচনা করে রাম প্রসাদের দিকে পাল্লা ঝুঁকতে পারে।এটাও বাস্তব, ২০১৮এর নির্বাচনের আগে দলীয় ভোটে জয়ী হওয়া সত্বেও বিজেপি রাম প্রসাদকে সভাপতি করেনি। দায়িত্ত্ব দেওয়া হয়েছিলো বিপ্লব দেবকে।তাহলে এবার কি রামপ্রসাদ পালের ভাগ্যে সভাপতির চেয়ার জুটবে ? নাকি রাম প্রসাদকে ব্রাত্য রেখে কিশোর বর্মনকে সভাপতির চেয়ারে বসিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে রাজীব ভট্টাচার্য সভাপতির চেয়ারের মিউজিকাল চেয়ারের প্রতিযোগিতা থেকে থাকবেন অনেকটা দূরে।তবে গেরুয়া ফাঁক গলে অনেক কিছু হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *