ডেস্ক রিপোর্টার,৪আগষ্ট।।
রাজ্যের শিল্পতালুক বোধজংনগরে ফের মাফিয়া তাণ্ডব। চাহিদা অনুযায়ী তোলা না পেয়ে এক নির্মাণ ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সমাজদ্রোহী বিপ্লব বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে তোলা আদায় সহ মারধরের বেশ কিছু মামলা রয়েছে বোধজংনগর থানায়। গত বছর দুয়েক এক আগে বিপ্লব বিশ্বাসকে নাসাতেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরবর্তী সময়ে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর বোধজংনগর থানা এলাকায় পূর্ত দফতরের নির্মাণ কাজের বরাত পেয়েছিলেন দীপক নামে এক ঠিকাদার।দীর্ঘদিন ধরেই বিপ্লব বিশ্বাস ও তার সাগরেদরা ঠিকাদারের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছিল। কিন্তু ঠিকাদার দীপক বাবু বিপ্লব বিশ্বাসকে টাকা দিতে রাজি হননি। এর পরই ঠিকাদারকে নানান রকম হুমকি দেওয়ার কাজ শুরু করে সমাজদ্রোহী বিপ্লব। অবশেষে তোলার টাকা না পেয়ে বিপ্লব বিশ্বাস ও তার লোকজন বুধবার দুপুরে নির্মাণস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে ফের ঠিকাদার দীপক বাবুর কাছে টাকা দাবি করে। তৎসময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দফতরের বাস্তুকাররা। তারাও এই ঘটনা পরখ করেন। একসময় বিপ্লব বিশ্বাস ও তার অনুগামীরা ঠিকাদার দীপক বাবুর উপর চড়াও হয়। প্রকাশ্য তাকে মারধর শুরু করে। বিপ্লব ও তার লোকজনের আক্রমনে ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত হন ঠিকাদার দীপক। সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত পূর্ত দপ্তরের বাস্তুকাররা বিষয়টি বোধজং নগর থানা পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ অকুস্থলে ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত ঠিকাদার দীপক বাবুকে উদ্ধার করে।এবং জিবি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সমাজদ্রোহী বিপ্লব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।এবং নামে তদন্তে।
খবর অনুযায়ী,ঘটনার বিকেলে পুলিশ সমাজদ্রোহী বিপ্লব বিশ্বাসকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে থানায়। তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন সমাজদ্রোহীকে গ্রেফতারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ। তারা এই ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে সরে যায়। এবং গোপন আস্তানায় ঢাকা দেয়। বোধজংনগর থানার ওসি তাপস মালাকার এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি তদন্তের স্বার্থে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *