ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪অক্টোবর।।
                    সুবল ভৌমিক।এক সময়ে রাজ্য রাজনীতির ডাক সাইটের নেতা ছিলেন।তিনি পা রেখেছিলেন বহু রাজনৈতিক দলের ঘাটে। তার শেষ গন্তব্য ছিলো তৃণমূল নেত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলার দিদির আঁচল থেকেও তিনি খসে পড়েছেন।এই মুহুর্তে রাজ্য রাজনীতিতে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের মতোই অপ্রসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন সুবল ভৌমিক। তার রাজনৈতিক জীবন এক ঘোর নিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে।এমনটাই বলছেন রাজনীতিকরা।
                    রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের গো – হারার পর মমতা – অভিষেকের কু-নজরে পড়ে যান সুবল ভৌমিক। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব তাকে দলের সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। তবে তিনি এখনো কাগজে কলমে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর – পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জের দায়িত্বে আছেন। বাস্তব অর্থে উত্তর পূর্বাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের  এই পদ শুধু মাত্র লোক দেখানো। এই অঞ্চলের কোনো রাজ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতা দখল করার অবস্থায় নেই। স্বাভাবিক ভাবেই সুবল ভৌমিকের এই পদ একেবারেই গুরুত্বহীন।
                    তৃণমূল কংগ্রেস সুবল ভৌমিককে সভাপতির দায়িত্ত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগেই তিনি দল ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।রাজনৈতিক মহলের খবর ছিলো, সুবল ফের যোগ দেবেন বিজেপিতে।শাসক দলের নেতারা তাকে কয়েকদিন চক্রীর মত ঘুরিয়ে পত্র পাঠ বিদায় করে দেয়। সুবল বিজেপি থেকে ধাক্কা খেয়ে পোস্ট অফিস চৌমুহনীর সাদা বাড়িতে মাথা গুঁজার চেষ্টা করেছিলেন।কিন্তু সুদীপ – আশীষরা সুবলকে নিয়ে কোনো ইন্টারেস্ট দেখান নি।স্বাভাবিক ভাবেই অবাম নেতা সুবল ভৌমিকের সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বিজেপি ও কংগ্রেসে সুবল ভৌমিকের এই দৌড়ঝাঁপের কথা পৌঁছে যায় কলকাতার কালীঘাটে। আর তাতেই চটে যান পিসি- ভাই পো। তারা তড়িঘড়ি সুবল ভৌমিকের ডানা ছেটে দিয়ে নিষ্ক্রিয় করে দেন। তৃণমূল নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের পর গভীর সঙ্কটে পড়ে যায় সুবল ভৌমিকের রাজনৈতিক জীবন।
                    বর্তমানে  সুবল ভৌমিক রাজনীতির এক ঘরে। বিকল্প হিসাবে সুবলের সামনে  রয়েছে সিপিআইএম।কিন্তু আদর্শগত কারণে সেই রাস্তাও আপাতত বন্ধ।তবে কোনো সময় সুবল ভৌমিক যদি সিপিআইএমে যোগ দেন,তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না । কারণ সিপিআইএম ব্যতীত রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলেই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এন্ট্রি দিয়েছিলেন সুবল।রাজনীতিকরা বলছেন, বাম ছাড়াও সুবলের কাছে বিকল্প হিসাবে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের “আপ”। কিন্তু সুবলের রাজনৈতিক গ্রাফ এতো নীচে “আপ”কে গিয়ার আপ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।কারণ তিনি এখন অতীতের ছায়া। তাছাড়া রাজ্য রাজনীতিতে আপকে দূরবীন দিয়ে দেখাও দুষ্কর।তাই রাজনীতিকরা বলছেন সুবলের রাজনৈতিক জীবনে এখন নেমে এসেছে ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার।
                   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *