ডেস্ক রিপোর্টার, ২১অক্টোবর।।
পাহাড় রাজনীতিতে ভাজপার মাস্টার স্ট্রোক। ব্যাক টু প্যাভিলিয়নে বিদ্যুৎ দেববর্মা। তিনি তিপ্রামথাকে আলবিদা জানিয়ে ফের যোগ দিলেন বিজেপিতে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা, উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে বিদ্যুৎ দেববর্মা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তার হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেন প্রদেশ বিজেপির দন্ডমুন্ডের কর্তারা।
এক সময় বিদ্যুৎ দেববর্মা ছিলেন বিজেপির জনজাতি মোর্চার প্রথম সারির নেতা ।কিন্তু এডিসি নির্বাচনের পর বিদ্যুৎ দেববর্মা তিপ্রামথা যোগ দিয়েছিলেন। মথা নেতৃত্ব বিদ্যুৎ দেববর্মাকে এডিসির মনোনীত এমডিসি হিসেবে নিযুক্ত করেছিলো। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্য রাজনীতিতে প্রতিদিনই ঘটছে সমীকরণের অদল বদল । কখনো তিপ্রামথার সুপ্রিম প্রদ্যুৎ কিশোর হানা দিচ্ছেন বিজেপি শিবিরে। তিনি ভাঙ্গন ধরাচ্ছেন বিজেপির শরিক দল আইপিএফটিতেও। আবার পাল্টা কাউন্টার অ্যাটাকে ঝড় তুলছে ভাজপা শিবির। তারই প্রমাণ পাওয়া গেল শুক্রবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে।
রাজধানীতে বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ফের নিজ ঘরে ফিরে এসেছেন জনজাতি নেতা বিদ্যুৎ দেববর্মা। বিদ্যুৎ বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন,” এখন পাহাড়ের মানুষকে কিছু চাইতে হয় না। তার আগেই ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে সরকারি সুযোগ সুবিধা। তার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যুৎ স্পষ্ট করে বলেছেন, এখন পাহাড়ের শুধুমাত্র জলের সমস্যা। তাছাড়া পাহাড়ের বাড়ি বাড়িতে পাকা ঘর। গভীর জঙ্গলে এই ধরনের পাকা ঘর গিরিবাসীরা কখনো আশা করতে পারিনি। মিলছে পর্যাপ্ত রেশন। স্বাস্থ্য পরিষেবাও ভালো। সুতরাং বিজেপি ব্যতীত অন্য কিছু চিন্তা করার সময় নেই জনজাতিদের।”
বিদ্যুৎ দেববর্মার কথায়, একমাত্র বিজেপি সরকার একজন জনজাতি মহিলাকে দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দিতে পেরেছে। বিজেপির এই চিন্তাভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করে বিদ্যুৎ দেববর্মা বলেন, এরপরই তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এবং তিনি বুঝতে পেরেছেন একমাত্র বিজেপিই জনজাতিদের উন্নয়ন করতে পারে। বিদ্যুৎ দেববর্মার ভাষায়, রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসের ক্ষমতায় ছাড়া আর কোন সম্ভাবনা নেই ২৩’র বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় প্রত্যাবর্তন ঘটবে বিজেপি সরকারের।
