ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
              অবশেষে নানান রাজনৈতিক চরাই- উৎরাই পেরিয়ে রাজনৈতিক খোলস থেকে বেরিয়ে এলো বামেরা। শুক্রবার রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে শক্তির মহড়া দিলো মেলারমাঠের লালবাড়ি। আস্তাবল ময়দান হলো জন প্লাবন। বাম নেতৃত্বের কথায়,প্রায় ৪০ হাজার লোকজন জমায়েত হয়েছে অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য সমাবেশে।আরো লোকজন আসার কথা ছিলো।কিন্তু বিজেপির রক্ত চক্ষুর ভয়ে মানুষ সমাবেশে আসতে পারে নি। তবে ২৩- র ভোট বাক্সে ঘটবে তার প্রতিফলন।দাবি বাম নেতৃত্বের।


রাজনীতিকরা বলছে,  আস্তাবল ময়দানে এদিনের জনসভার মধ্য দিয়ে ২৩- র দামামা বাজিয়ে দিয়েছে কমিউনিস্টরা।বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বামেরা ৪০ হাজার লোক জড়ো করেছে। এটা নেহাৎ কম নয়।অনেক বাম সমর্থিত লোকজন ভয়ে সমাবেশে আসতে চায় নি। কারণ সমাবেশে আসলেই রাতের অন্ধকারে তাদের উপর নেমে আসবে বর্বরোচিত আক্রমণ। এই ভয়েই একটা অংশের বাম কর্মী – সমর্থকরা ঘরে বসেই সমাবেশকে সমর্থন করে গেছে।


এটাও বাস্তব,বিরোধী অংশের মানুষের মধ্যে অনেকেই এখন শাসকের ভয়কে তোয়াক্কা না করে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলাতে প্রস্তুত।এই জন্যই মানুষ জড়ো হয়েছে  বামেদের মিছিলে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এটা বামেদের অতিরিক্ত অতিরিক্ত অক্সিজেন জোগাবে নিঃসন্দেহে। একটা লক্ষ্যণীয় বিষয়,বামেদের এই সমাবেশে অনুপজাতি অংশের লোকজনের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি ছিলো।


রাজনীতিকদের ব্যাখ্যা,এই মুহুর্তে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন জনজাতিদের স্বার্থে কথা বলতে গিয়ে  অনুপজাতি অংশের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করছেন। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালি প্রদ্যুৎ কিশোরের দল  তিপ্রামথার রাজনৈতিক কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ।মানুষ এখন বিজেপিকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কারণ দীর্ঘ বাম জামানায় প্রদ্যুৎ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন নি। কিন্তু বিজেপি জামানায় প্রদ্যুৎ হয়ে উঠছেন রাজনীতির মহীরুহ। এবং বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলছে। এটা বাঙালি সমাজ ভালো চোখে দেখছে না। তাই বাঙালিদের একটা বড় অংশ বিজেপির প্রতিও ক্ষিপ্ত। তারা মন্দের ভালো হিসাবে বামেদের দিকেই ঝুঁকছে। ভোটের রাজনীতির এই সমীকরণ বামেদের দিকে পুরোপুরি ঝুঁকে গেল নিঃসন্দেহে বিপদ বাড়বে বিজেপির।এদিনের আস্তাবল মাঠে বামেদের  জনসভায় যেন এরই ইঙ্গিত ভেসে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *