মাফুজের রহমান * বক্সনগর
               __________________________

         গরু পাচার কার্যে বাধা দেওয়ার “অপরাধে” পাচারকারীদের হাতে আক্রান্ত হলো গ্রামবাসীরা। আক্রান্তরা হলেন পাখী বেগম, তার দেবর নাসির মিয়া ও স্বপ্না বেগম। তাদের বাড়ি কলমচৌড়া থানার পুটিয়া পঞ্চায়েতে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা।আক্রান্তকারীরা নয় জনের বিরুদ্ধে কলমচৌড়া  থানায় মামলা দায়ের করেছে। তবে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করে নি।

খবর অনুযায়ী, পুটিয়া পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলা সীমান্তের কাটা তারের বেড়া সংলগ্ন এলাকা দিয়ে প্রায়শই পাচার কার্য সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ গোটা অঞ্চলে বিএসএফ থাকা সত্বেও পাচারকারীদের দৌরাত্ম থাকে। দিন রাতেই চলে পাচার কার্য। এপারের পণ্য ওপারে এবং ওপারের পণ্য এপারে আনা নেওয়ার কাজ করে থাকে পাচারকারীরা। কখনো কখনো সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ পাচারকারীদের ধাওয়া করে থাকলে তখন পাচারকারীরা গ্রামবাসীদের বাড়ির আনাচে-কানাচে ঘুরপাক করে এবং অবস্থান করে পরিচিত লোকজনের বাড়ি ঘরে। স্বাভাবিকভাবেই বিএসএফ জওয়ানরা তখন গ্রামবাসীদের বাড়িতে আসে পাচারকারীদের উদ্দেশ্যে। এবং বাড়িঘরে চালায় চিরুনি তল্লাশি।

আক্রান্ত গ্রামবাসী ।

ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পুটিয়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার দুপুরেও সীমান্তে বিএসএফের বজ্র আঁটুনি  নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে পাচার বাণিজ্যের প্রস্তুতি নেয়। পাচারকারী দলটি পুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পাখি বেগমের বাড়ির পাশে থাকা সীমান্ত তার ফাঁক করে পাচার বাণিজ্য শুরু করে। তখনই পাখি বেগম সহ গ্রামের লোকজন পাচারকারীদের বাধা প্রদান করে । তাতেই পাচারকারীদের কাজের ব্যাঘাত ঘটে। এরা জ্বলে ওঠে তেলে বেগুনে। প্রথমে পাচারকারীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে  পাচারকারীরা দা, লাঠি নিয়ে সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা পাখি বেগমের উপর চড়াও হয়। এই ঘটনা দেখে এগিয়ে আসেন পাখি বেগমের দেবর নাসির মিয়া সহ প্রতিবেশী স্বপ্না বেগম নামে এক মহিলা।পাচারকারীরা তাদেরকেও হামলা করে হামলা করে। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এই ঘটনার পর আক্রান্ত গ্রামবাসীরা পাচারকারীদের নাম ঠিকুজি দিয়ে কলমচৌড়া থানায় মামলাও দায়ের করেন
            

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *