ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
                  ২৩’র মহারণে রাজ্য জুড়ে হবে পাওয়ার পলিটিক্সের খেলা। শহর থেকে সমতল, গ্রাম থেকে পাহাড় সর্বত্রই পাওয়ার পলিটিক্সের নগ্ন খেলার জন্য মুখিয়ে আছে সব কটি রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে তার আভাসও। উৎসব মরশুম শেষ হতেই সবকটি রাজনৈতিক দল খোলস ছেড়ে মাঠে নেমেছে। জোর কদমে শুরু করেছে তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ। কোন রাজনৈতিক দলই তাদের প্রতিপক্ষকে ছেড়ে কথা বলবে না। প্রতিটি  দলই রাজনীতির ময়দানে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের রণকৌশল স্থির করে নিয়েছে। এই বিষয়টি বিলক্ষণ আচ করতে পেরেছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। তাই ২৩র ভোটের সময় রাজ্যের বিভিন্ন অংশেই পুলিশ হেল্প ডেস্ক চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য আরক্ষা প্রশাসন স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
                  রাজ্যের আরক্ষা দপ্তরের খবর অনুযায়ী, শেষ ছয় মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট বড় প্রায় ৮ হাজার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় লিপিবদ্ধ হয়েছে এই সংক্রান্ত ঘটনা। অধিকাংশ ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে ঘটেছে মৃত্যুও। স্বাভাবিক কারণেই শেষ ছয় মাসের এই পরিসংখ্যান ভাবিয়ে তুলছে রাজ্য পুলিশকে। এই কারণেই ২৩শের মহারণ নিয়ে গভীর আতঙ্কে আছে পুলিশ প্রশাসন। তারা বুঝতে পেরেছে ২৩ র ভোট হবে একেবারেই পৃথক। এখানে প্রাধান্য পাবে পাওয়ার পলিটিক্স। এই পাওয়ার পলিটিক্স আটকাতে হলে আরক্ষা প্রশাসনকে সতর্কভাবে কাজ করতে হবে এবং তার জন্য প্রয়োজন পুলিশ হেল্প ডেস্ক।


পুলিশ সদর দপ্তরের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি বিধানসভা এলাকাতেই ১০থেকে ১২টি পুলিশ হেল্প ডেস্ক থাকবে। এই গুলিতে সর্বক্ষণ ডিউটিতে থাকবেন পুলিশ কর্মীরা।  থাকবে ছোট আকারে  কুইক রি- অ্যাকশন টিম। গাড়ি,অ্যাম্বুলেন্স সহ অপরাধ ঠেকানোর সমস্ত ব্যবস্থা। কোন জায়গাতে সন্ত্রাস সংক্রান্ত খবর পেলেই হেল্প ডেস্ক থাকা কুইক রি- অ্যাকশন টিম  ছুটে যাবে। অকুস্থলে গিয়ে সামাল দেবে পরিস্থিতি।  সংঘর্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা আক্রান্ত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হবে হাসপাতালে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করতে পারবে পুলিশ হেল্প ডেস্ক ‘ র কর্তব্যরত আরক্ষা কর্মীরা। কোথায় কোনো ঘটনা ঘটলে মানুষ পুলিশ হেল্প ডেস্ককে সরাসরি জানাতে পারবে। পুলিশের এই তৎপরতা থেকে স্পস্ট আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক সংঘর্ষের রূপ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *