ডেস্ক রিপোর্টার,১০জানুয়ারি।।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথার দিকে তাকিয়ে আছে কংগ্রেস – বিজেপি। ঘুর পথে সিপিআইএম। তবে সমতলে কংগ্রেস – সিপিআইএমের জোট প্রায় পাক্কা।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।কিন্তু শাসক দল বিজেপির পাখির চোখ তিপ্রামথার দিকে। খবর অনুযায়ী, তিপ্রামথা এখনও নিজেদের স্ট্যান্ড পয়েন্টে অবিচল। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের লিখিত চুক্তি বিনা তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করবে না। যদিও বিজেপি চেষ্টা করছে প্রদ্যুৎ কিশোরকে ম্যানেজ করার জন্য।
প্রদ্যুৎ কিশোর ভালো করেই জানেন,লিখিত চুক্তি বিনা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে গেলে মুহূর্তেই নিঃশেষ হয়ে যাবে।এই ভুল অন্তত করবে না প্রদ্যুৎ কিশোর। অন্য দিকে সমস্যায় আছে বিজেপিও। তারা প্রদ্যুৎ কিশোরকে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।কারণ প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড নিয়ে লিখিত চুক্তি করা মানেই বাঙালি ভোটে ধাক্কা।চল্লিশটি আসনে বিজেপির ফলাফল কোন জায়গাতে গিয়ে পৌঁছবে, তা বলা কঠিন।এর সফল তুলবে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম।
রাজনীতিকরা বলছেন, এই জটিল অঙ্কের সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে আছে বিজেপি ও তিপ্রামথার জোট। বিজেপি ও মথার মধ্যে যদি কোনো জোটের কোনো সমাধান সূত্র বেরিয়ে না আসে,তাহলে প্রতেকেই একা লড়বে। আপাত দৃষ্টিতে পাহাড়ে তিপ্রামথার লড়াই করার ক্ষমতা নেই বিজেপির।তাদের শক্তি এই মুহূর্তে বামেদের থেকেও কম।রাজনীতির এই অঙ্ক অনুযায়ী, পাহাড়ে লড়াই হবে তিপ্রামথা ও সিপিআইএমের মধ্যে। বিজেপি চলে আসতে পারে তৃতীয় স্থানে।তখন এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে সমতলেও।চল্লিশটি আসনের বিজেপিকে লড়াই করতে হবে বাম – কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে।এই লড়াই এতোটা সহজ তাও হতে পারে। এখানেও শঙ্কা কাজ করবে বিজেপির।
রাজনীতিকদের ব্যাখ্যা,রাজ্যের মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির বিপক্ষে নয়।কিন্তু একাংশ রাজ্য নেতৃত্বকে সাধারণ মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না।পাহাড় – সমতলের গলি গলি কান পাতলেই শোনা যায় প্রথম সারির বিজেপি নেতৃত্বের দুর্নীতির কথা। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের মুখ হিসাবে তাদেরকে আর দেখতে চাইছে না আমজনতা।এখানেই বিজেপির নেগেটিভ পয়েন্ট। এই কারণেই বাম- কংগ্রেসের জোটকে মানুষ ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও সায় দিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
