ডেস্ক রিপোর্টার, ১০জানুয়ারি।।
রাজ্য রাজনীতির নতুন সমীকরণের আভাস। পাহাড় – সমতল উভয় জায়গাতেই জনজাতি ও সংখ্যালুঘ ভোট নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করতে চলছে। তার মূল ভর কেন্দ্র তিপ্রামথা।এই জন্য এডিসির ২০টি আসনের বাইরেও তারা জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করছে। অর্থাৎ রাজ্যের বহু কেন্দ্রে জনজাতি ও সংখ্যালঘু ভোটের মিশ্রণ পাল্টে দিতে পারে বহু হিসেব নিকেশ। এমন ধারণা পোষণ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এই মুহূর্তে বিজেপিকে ঠেকাতে গোটা রাজ্য জনজাতি ভোট ও সংখ্যালঘু ভোট একত্রে করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর। আপাতত তিনি সফল।রাজ্যের এডিসি ও নন এডিসি অঞ্চলের সংখ্যালঘু ভোটারদের নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে এসেছে মথা। তাতে ঝুলিতে আঘাত লেগেছে সিপিআইএম ও কংগ্রেসের ভোট ব্যাংকে। কারণ সংখ্যালঘু ভোটাররা ছিলো মুলত বাম সমর্থক।তবে আরেকটা অংশ ছিল কংগ্রেস সমর্থক।
২৩ – র নির্বাচনে তিপ্রামথা নতুন ভোটের দর্পণ এঁকে দিয়েছে। এডিসি এলাকার সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রদ্যুৎ তার ঝুলিতে পুড়ে নিয়েছে।তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল তিপ্রামথার সর্ব শেষ জনসভায়।এই সভায় প্রচুর সংখ্যক বাঙালি লোকজন হাজির হয়েছিল রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে। তাদের সিংহ ভাগ ছিলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।ইতিমধ্যে পাহাড় জুড়ে সংখ্যালঘুরা তিপ্রা মথার হয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।এবং তারা কংগ্রেস,সিপিআইএম ও বিজেপির মতো দলগুলিকে তুলোধুনো করে প্রদ্যুৎ কিশোরের ন্যায় শেষ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে। তারাও বলছে জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করবে তারা।
তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর নির্দিষ্ট ছক কষে সংখ্যালঘু ভোটারদের বন্ধনীর মধ্যে ফেলে দিয়েছে।তাই কমলপুর, বক্সনগর, সোনামুড়া সহ যেসমস্ত আসনে জনজাতি ও সংখ্যালঘু ভোট পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি,সেই সব আসন গুলিতে প্রার্থী দেবে। মথার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ লড়াই করবে নির্বাচনে।এই কারণেই প্রদ্যুৎ কিশোর বারবার বলছেন এডিসির বাইরের আসন গুলিতেও চমক সৃষ্টি করবে তিপ্রামথা। এবং বেশ কয়েকটি আসনে সংখ্যালঘু ও জনজাতি ভোটের মিশ্রণে জয়ীও হতে পারে তিপ্রামথার প্রার্থীরা।
