ডেস্ক রিপোর্টার,৫ফেব্রুয়ারি
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। গননা ২রা মার্চ। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে সব কয়টি রাজনৈতিক দলের প্রচার। আসছেন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলির তারকা প্রচারকরা।করছেন দলীয় প্রচার। তার জন্য খরচ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।তবে এই টাকা সাদা নয়। সিংহ ভাগ কালো টাকা।ভোট মানেই টাকার ফুলঝুড়ি ।
ভোট মানেই কালো টাকার পাহাড়।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়েই উড়ছে কালো টাকা। কম বেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের ভোটের কাজে সাদা টাকার পাশাপাশি ব্যবহার করছে বিপুল পরিমাণ ব্ল্যাক মানি। নির্বাচন কমিশনের চোখে ফাঁকি দিয়েই ভোট বাজারে চলছে কালো টাকার রমরমা। ২৩ – র ভোট বাজারে কালো টাকার কালো হাত লেগেছে রাজনীতির সর্ব অঙ্গে।
ইতি মধ্যে প্রশাসন বেশ কিছু জায়গা থেকে উদ্ধার করেছে কালো টাকা।গ্রেপ্তার করেছে কালো টাকা বহনকারীদের। উদ্ধার করেছে গাড়ি।উদ্ধারকৃত টাকার কোনো উৎস দেখাতে পারেনি টাকা বহনকারীরা। স্বাভাবিক ভাবে পুলিশ উদ্ধারকৃত টাকা সিজ করে নেয়।
গোয়েন্দার খবর অনুযায়ী, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন ভাবে রাজ্যে পৌঁছেছে কোটি কোটি কালো টাকা। তার বড় মাধ্যম “হাওয়ালা”। হাওয়ালার মাধ্যমে রাজ্যে প্রবেশ করছে টাকা। এই টাকা খরচ হচ্ছে ভোটের বাজারে। পুলিশের কাছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কালো টাকার মজুত ভান্ডারে হানা দিতে পারছে না। অথচ দেশে হাওয়ালা মাধ্যমে টাকা লেনদেন সম্পূর্ণ বে – আইনী। হাওয়ালার বিরুদ্ধে দুটি আইন রয়েছে দেশে।
১. ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০০ বা ফেমা।২. প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, ২০০২।
এই আইন অনুযায়ী পুলিশ হাওয়ালা মাধ্যমে লেনদেনকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ। কিন্তু কোনও এক রহস্য জনক কারণে হাত গুটিয়ে বসে আছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন না করে হওয়ালা মাধ্যমেই করে থাকেন। কারণ তাতে কোনো ঝুঁকি থাকে না। নেই কর দেওয়ার চোখ রাঙানি।নেই ধরা পড়ার সম্ভাবনাও।
ভারত বর্ষের রাজনীতির সঙ্গে হাওয়ালা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্পর্কও গভীর।নয়ের দশকে হাওয়ালা অপারেটর জৈন ভাইদের ডায়েরিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম উঠে আসায় দেশজুড়ে তোলপাড় দেখা গিয়েছিল। সেই ডায়েরিতে নাম ছিল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী, প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী দেবী লাল, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এনডি তিওয়ারি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নটবর সিং-র। তবে আদালতে সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধ কোনও প্রমাণ দিতে না পারায় সকলেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন।
রাজনীতিকরা বলছেন, ২০১৩ সাল থেকেই রাজ্যে হওয়ালার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা প্রবেশ করছে ভোট মরশুমে। ২০১৮ সালে হাওয়ালার মাধ্যমে আসা টাকার পরিমাণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর ২৩- র ভোট বাজারে পাখির মত ডানা মেলে উড়া কালো টাকার ব্যান্ডিল আসছে হাওয়ালার মাধ্যমেই।
