ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ ফেব্রুয়ারি।।
   সাঙ্গ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এখন অপেক্ষা গণনার ।আগামী  ২রা মার্চ হবে ফলাফল ঘোষণা। ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র করে সারা রাজ্যেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে পারে রাজনৈতিক সন্ত্রাস। এমন আশঙ্কা করছে পুলিশ প্রশাসন। গণনা পরবর্তী ভোট সন্ত্রাসকে কিভাবে মোকাবেলা করবে? তার জন্য রক্ষা প্রশাসনের কপালে ভাজ পড়ছে প্রতিনিয়ত ।ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা বৈঠক করেছেন ।প্রতিটি জেলাতেই ফলাফল ঘোষণার পর  যেন কোন সন্ত্রাসের ঘটনা সংঘটিত না হয় তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আটোসাটো করার প্রস্তুতি নিয়েছে।  একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৈঠক করা হয়েছে। তারপরও গণনা পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছে খোদ প্রশাসানিক কর্তারা।
   আরক্ষা প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যে বাম – কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাসের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। তার পেছনেও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কেননা গত পাঁচ বছর বিজেপি- আইপিএফটি জোট সরকারের জামানায় ধাপে ধাপেই রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল রাজনৈতিক সন্ত্রাসের। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিজেপির বাইক বাহিনী ও হেলমেট বাহিনীর মুখে পড়তে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। বহু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা – হুজ্জুতি, ভাংচুর ও শারীরিকভাবে নিগৃহীত করার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিকভাবেও বিরোধী মনোভাবাপন্ন মানুষও বিপক্ষ শিবিরের নেতাদের হেয় করার মত ঘটনা ঘটেছে। শহর থেকে সমতল গ্রাম থেকে পাহাড় সর্বত্রই এরকম দৃশ্য প্রতিফলিত হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের জামানায় আক্রান্ত লোকজন সুযোগ পেলে তার পাল্টা জবাব দেবেই ।সুতরাং বাম – কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় এলে শেষ পাঁচ বছরে নানান ভাবে অত্যাচারিত লাঞ্ছিত লোকজন পাল্টা আঘাত হানতে কোন দ্বিধাবোধ করবেন না ।রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়টি বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে ।সুতরাং বাম কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাসের যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে ত্রিপুরা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
        আরক্ষা প্রশাসনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিজেপি- আইপিএফটি জোটের প্রত্যাবর্তন হলেও সন্ত্রাস কমবে না ।তারাও সর্বশক্তি নিয়ে বিরোধীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। ১৮ থেকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যে পরিমাণ সন্ত্রাস হয়েছিল, ফলাফল ঘোষণার পর তার সংখ্যা অধিক বেড়ে যাবে। বিরোধীদের একেবারেই  নিঃস্ব করে দেওয়ার জন্য কোন রকম খামতি রাখবে না বিজেপিও। তাদের বাইক বাহিনী, হেলমেট বাহিনী সহ অন্যান্যরা ঝাঁপিয়ে পড়বে বিরোধী নেতা, কর্মী, সমর্থকদের উপর। স্বাভাবিকভাবেই  ঝড়বে রক্ত। দিকে দিকে শোনা যাবে কান্না। সিক্ত হবে নির্যাতিত মানুষের অশ্রু।
        অর্থাৎ যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত রাজ্যে ফুটে উঠতে পারে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কদর্য রূপ। সন্ত্রাসের আস্ফালনে নাভি শ্বাস উঠবে সাধারন মানুষেরও। আতঙ্ক গ্রাস করবে গোটা রাজ্য। এই আশঙ্কা করছে খোদ আরক্ষা প্রশাসন ।এই কারণেই সাধারণ মানুষকে সন্ত্রাসের ভয় থেকে মুক্ত করার জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশি নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ভেদ করে রাজনৈতিক দুষ্কৃতীরা বিরোধী দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর যে ভয়ানক আক্রমণ হানবে তা বলার অপেক্ষায় রাখেনা। এই কারণেই খুব সতর্ক হয়ে সন্তর্পনে কাজ করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *