
ডেস্ক রিপোর্টার,৬মার্চ।।
আগামী ৮মার্চ রাজ্যের দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং,বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ বিজেপির অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
রাজ্যে দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। চায়ের দোকান থেকে রান্না ঘর। সর্বত্রই শুরু হয়েছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। কে হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা উপ মুখ্যমন্ত্রী? জেলা থেকে কারা কারা আসছেন রাজ্য মন্ত্রিসভায়? রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে এমন অজস্র প্রশ্ন।
কৃষ্ণনগর গেরুয়া বাড়ির খবর অনুযায়ী, প্রত্যাশিত ভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন ডা: মানিক সাহা। এটা নির্বাচনের আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মানিক সাহাকে মুখ করেই বিজেপি অবতীর্ণ হয়েছিল ২৩- র মহারণে। ভোটের বাজারে ডা:মানিক সাহার স্বচ্ছ ইমেজকে কাজে লাগিয়েছিল বিজেপি।স্বাভাবিক ভাবেই যুদ্ধ জয়ের পর ডা: মানিক সাহাই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন চরিলাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন।তাই এবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আসবেন নতুন মুখ। তথ্য বলছে, বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে চলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। সিপাহীজলা থেকে তিনিই আসবেন মন্ত্রিসভায়।এবারের মন্ত্রিসভায়ও থাকবেন বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা রতন লাল নাথ।সম্ভবত এই মন্ত্রিসভায়ও রতন লাল নাথ শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন। পশ্চিম জেলা থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন সুশান্ত চৌধুরী ও রামপ্রসাদ পাল তারা উভয়ই বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

গোমতী জেলা থেকে মন্ত্রিসভায় আসছেন বিদায় মন্ত্রিসভার দুই সদস্য তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সিংহ রায় ও উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, দক্ষিণ জেলা থেকে বিজেপির শরির দল আইপিএফটির জয়ী প্রার্থী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হবে। ধলাই থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন মনোজ কান্তি দেব। তিনি বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। উনকোটি জেলা থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আসছেন টিংকু রায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। কিন্তু এই জেলায় রয়েছেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ভগবান দাস।খবর অনুযায়ী,এবার ভগবান দাস মন্ত্রিসভায় স্থান নাও পেতে পারেন।কারণ উনকোটি থেকে একজনকেই মন্ত্রী করা হবে। উত্তর জেলা থেকে শান্তনা চাকমা প্রত্যাশিত ভাবে পুনরায় মন্ত্রী হবেন।তবে দৌঁড়ে রয়েছেন বিজেপির ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন।কিন্তু সম্ভবনা কম। খোয়াই জেলা থেকে নাম উঠে আসছে কল্যাণী রায় ও বিকাশ দেববর্মার নাম।

রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ থাকবেন খয়েরপুরের বিধায়ক রতন চক্রবর্তী। যদি বিশ্ববন্ধু সেনকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া না হয়, তাহলে তাকেও বিধানসভার উপাধ্যক্ষ হিসাবে রেখে দেওয়া হবে। একই বিষয় কল্যাণী রায়ের ক্ষেত্রেও। তিনি মন্ত্রিসভায় স্থান পেলে বিধানসভার মুখ্য সচেতক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।