ডেস্ক রিপোর্টার, ১০মার্চ।।
          কৃষ্ণধন দাস।
               ২৩- র ভোট যুদ্ধে তিনি ৩- বামুটিয়া
কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী ছিলেন।কিন্তু কৃষ্ণধন ২৩- র ভোট বৈতরণী অতিক্রম করতে পারেন নি।তিনি ঠাই পেয়েছেন প্রাক্তন বিধায়কের তালিকায়।
      সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বামুটিয়া কেন্দ্রের গ্রাউন্ড জিরোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে রাজ্যের একমাত্র সংবাদ মাধ্যম জনতার মশাল ও JM 24 News জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচনী বৈতরণী অতিক্রম করতে পারবেন না কৃষ্ণধন দাস। কারণ তৎকালীন বিজেপির বিধায়ক কৃষ্ণধন দাসের কাজকর্মে বামুটিয়ার কিছু মানুষের বীতশ্রদ্ধ মনোভাব ও দলীয় অন্তর্কোন্দল। এই দুয়ের মিশেলে ২৩- র ভোটের মহাযুদ্ধের পরাস্থ হন বিজেপির প্রার্থী কৃষ্ণধন দাস। নির্বাচনের ফল ঘোষনার পর জনতার মশাল ও JM 24 News চ্যানেলের খবরের সত্যতা প্রকট হলো।
                       সম্প্রতি বামুটিয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। কৃষ্ণধন তার পোস্টে লিখেন,”মনে রাখবেন বামুটিয়ার বিকাশের গতিকে থমকে দিতে এবং এই কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির পরাজয়কে নিশ্চিত করতে এই দুষ্টচক্রীরা সক্রীয় ছিল। এরাই মীরজাফরের ভূমিকা পালন করেছে।”
        বিজেপির বিজিত প্রার্থী কৃষ্ণধন দাসের এই পোস্ট থেকে পরিষ্কার দলীয় অন্তর ঘাতের কারণেই তিনি পরাজিত হয়েছেন। বামুটিয়া বিজেপির একাংশ লোকজন তাকে পরাজিত করতে  সক্রিয় ছিলো। তিনি স্ব – দলীয়  কুচক্রীদের মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা করেন।



ভারতীয় জনতা পার্টির বিশাল জয়ের পর বামুটিয়া কেন্দ্রের পরিস্থিতি যে খুব একটা ভালো নয় তাও স্পষ্ট হয়ে যায় কৃষ্ণধন দাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্ট থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা কৃষ্ণধন দাসের পোষ্ট প্রতিবেদনের সঙ্গে দেওয়া হলো।
              ফেসবুক পোস্টে প্রাক্তন বিধায়ক লিখেন,”জনতার বিপুল সমর্থনে দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এতে দলের সকল স্তরের কার্যকর্তাদের মধ্যে অনাবিল আনন্দ স্বাভাবিক। তবে দলের এই সার্বিক জয়কে কেন্দ্র করে, বিজয় মিছিল বা ভারতীয় জনতা পার্টির নাম করে কেউ যদি ভয় ভিতি প্রদর্শন করে কিংম্বা কোন প্রকার চাঁদা সংগ্রহ করতে আসে, দয়া করে আপনারা চাঁদা দিয়ে প্রশ্রয় দেবেন না। আমি আগেও এলাকার সকল অংশের মানুষের পাশে ছিলাম, এখনো আছি । আপনারা এই দুষ্টু লোকদের সম্পর্কে আমাকে জানাতে কোন প্রকার দ্বিধা করবেন না।”
   কৃষ্ণধনের বক্তব্য থেকে স্পস্ট বামুটিয়া অঞ্চলে বিজেপি নামধারী কু চক্রিরা শুরু করেছে চাঁদার ঝুলুম।তাই কৃষ্ণধন সাধারন মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছেন।তিনি কোনো ভাবেই এই চাঁদা সংস্কৃতি পছন্দ করেছেন না।
পরিশেষে আবারও  বলতে হয়, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের বামুটিয়া কেন্দ্র নিয়ে জনতার মশাল ও JM 24 News চ্যানেলের গ্রাউন্ড জিরো ছিলো সত্য নিষ্ঠ। রিপোর্টে উঠে এসেছিলো এই কেন্দ্রের বাস্তব চিত্র। তা প্রমাণিত হল নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *