ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ মার্চ।।
                 এই মুহূর্তে রাজধানীর অপরাধের আতুর ঘর বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের ঊষাবাজার, ছিনাইহানী, এয়ারপোর্ট সহ আশপাশ এলাকা। গত পাঁচ বছরে এই সমস্ত অঞ্চল অপরাধের সূতিকাগার হয়ে উঠেছিল। তার পেছনে অবশ্যই দায়ী ছিলেন তৎকালীন স্থানীয় জন প্রতিনিধি দিলীপ দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি থেকেই স্পস্ট দিলীপ দাসের সঙ্গে নিগোসিয়েশন কারবারী,  অস্ত্র কারবারীদের স্পষ্ট।স্বাভাবিক কারণেই এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার পেছনে স্থানীয় লোকজন প্রাক্তন বিধায়কে দায়ী করছেন।
                 ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে বড়জলা কেন্দ্রের বিজেপির টিকিটে দাড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন দিলীপ দাস। ডাক্তার দিলীপ দাসের পরাজয়ের পেছনে মানুষ মূলত বড়জলা অঞ্চলে সমাজদ্রোহীদের আস্ফালনকে দায়ী করছেন।তাদের কারণে এই আসনটি হাত ছাড়া হয়েছে। তবে এর জন্য পুরোপুরি ভাবে দায়ী প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস। দিলীপ দাসের আস্কারা পেয়েই দিন দুপুরে ঠিকাদার অপহরন, বোমাবাজী, বুলেট নিক্ষেপ, তোলা আদায়,মারধর, হুমকী হুজ্জুতি করেছে। হয়তো বা দিলীপ দাস ভেবে ছিলেন অপরাধীদের লেলিয়ে দিয়ে তিনি ২৩- র ভোট বৈতরণী অতিক্রম করতে পারবেন।কিন্তু মানুষ দিলীপ দাসকে সেই সুযোগ দেয় নি। বড়জলার মানুষ বুঝে গেছেন দিলীপ দাসকে আবার জয়ী করলে এলাকার পরিবেশ নারীক গুলজারের পরিণত হবে।অপরাধ ও অপরাধীদের দূর গন্ধে মানুষকে অকালে মরতে হবে।তাই এলাকার মানুষ এবার রিস্ক নেয় নি। লোকমুখে শোনা যায়, এই কারণেই  ২৩- র মহাযুদ্ধে অপরাধীদের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দিলীপ দাসকে মানুষ ছুঁড়ে ফেলে দেন।


বড়জলা কেন্দ্রে গুঞ্জন, দিলীপ দাস ভেবেছিলেন বড়জলা কেন্দ্রে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।কারণ তার হাতে আছে বিমান দাস, রাজু বর্মন, সন্তোষ দাস,প্রভারক ঘোষদের মতো দাগি অপরাধীরা।তাদের দিয়েই ২৩- র ভোট করে নেবেন।এবং জয়ীও হবেন। তার জন্যই বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের নতুন নগরে ভিআইপি রোড লাগোয়া ১২গন্ডা জমি ক্রয় করেছিলেন। ২০১৯ সালে দিলীপ দাস মোট ৮৫ লক্ষ্ টাকা দিয়ে এই জমি নিয়েছিলেন।অভিযোগ, ৮৫ লক্ষ টাকার অধিকাংশ ছিলো সিপিডাব্লিউ – র  নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের টাকা।বাদবাকি টাকা ঠিকাদারদের। দিলীপ দাস আশায় বুক বেঁধেছিলেন, ২৩ এ বড়জলা থেকে জয়ী হওয়ার পর নতুন নগরের জমিতে অট্টালিকা সমেত বাড়ি তৈরি করবেন। তখন বাড়ি তৈরির টাকার সাপ্লাইও দেবে নিগো মাফিয়ারা।এই কারণেই তো নিগো মাফিয়াদের খুশি করতে খোদ দিলীপ দাস তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  নিগোসিয়েশন কারবারীদের হয়ে উকালতি করে নানান পোষ্ট করেছিলেন। তিনি সমর্থন করেছিলেন নিগোসিয়েশন ব্যবসাকে।
          বড়জলা কেন্দ্রের মানুষ দিলীপ দাসের কার্য্য কলাপের উপর নজর রাখছিল। এটা দল মত নির্বিশেষে।তারা এর রেজাল্ট দিয়ে দেয় নির্বাচনে।কিন্তু নির্বাচনের পরও ঊষা বাজারে রাজু, বিমান,প্রভাকর, সন্তোষদের অপরাধীরা ফের মাথা চারা দিয়ে উঠছে।এটাকে মানুষ মেনে নিতে পারছে না। অপরাধীদের ঠেকানোর জন্য ঊষা বাজার, ছিনাইহানী,এয়ারপোর্ট অঞ্চলে জনগণ সক্রিয় হয়েছে। একজোট হয়েছে মানুষ।অপরাধীদের ধরে এখন তারা দেবে গণ ধোলাই। তা থেকে বাদ যাবেন না প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাসও। খোদ বিজেপির লোকজনই তাদেরকে যেকোনো সময় সংঘ বদ্ধ ভাবে আক্রমণ করবে।প্রসঙ্গত ২০০৮ সালে সিপিআইএম সরকার ক্ষমতায় পর থেকে জনতা অপরাধীদের ঘর ছাড়া করার জন্য সংঘ বদ্ধ হামলা চালিয়ে ছিলো।একই কায়দায় এবার জনতা সব কিছু বুঝে নেবে অপরাধী ও দুর্নীতিবাজ জন প্রতিনিধিদের কাছে থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *