ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
             রাজ্যে বিজেপি ও তিপ্রামথার জমজমাট খেলা শুরু।ইন্টারলোকেটর নিয়োগ নিয়ে নীরব দিল্লি।দিল্লির ভূমিকায় ফুঁসছে পাহাড়।দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বড়মুড়াতে পাহাড় কাটার কাজ শুরু।উদ্দেশ্য জাতীয় সড়কে মথার কর্মীদের আমরণ অনশন।
সঙ্গে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করা।
     রাজ্যের তিপ্রাসাদের  স্বার্থ রক্ষার্থে ভারত সরকার সাংবিধানিক সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিপ্রামথাকে ইন্টারলোকেটর নিয়োগের মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। গত ২৭ মার্চের মধ্যে ইন্টারলোকেটরের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করার কথা জানিয়ে ছিলো কেন্দ্র। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ হয়নি ইন্টারলোকেটর।তাই ধোঁয়াশার মধ্যে পড়ে গেছে তিপ্রামথার নেতৃত্ব।



ভারত সরকারের এই মনোভাব মেনে নিতে পারছেন না তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর। তাই তিনি দাবি আদায়ের বিকল্প পথ হিসাবে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন।বুধবার দিল্লি থেকে আগরতলা এসে প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, কেন্দ্রিয় সরকার ইন্টারলোকেটর নিয়োগ করবে কিনা তাদের বিষয়।কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ হয় নি।এখন তিপ্রামথা আন্দোলনের পথে নামবে।
     আমরণ অনশন আন্দোলনের জন্য সেজে উঠছে
চম্পক নগরের হাতাইকতর এলাকা। বুধবার বিকেল থেকেই  অনশনের কাজ শুরু হয়েছে। পাহাড়ের একটি অংশে ড্রজার দিয়ে মাটি কাটার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সেই জায়গাতেই হবে অনশন। তিপ্রামথা দলের নেতৃত্বের কথায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কথা রাখেনি। ইন্টারলোকেটর বিষয়ে কোন লিখিত ভাবে কিছুই জানায়নি। জানিয়েছিলেন মৌখিক ভাবে। তবে এর সময় সীমা শেষ। তাই প্রাথমিক ভাবে মথা দাবি আদায়ের জন্য  আমরণ অনশন করবে। তারা অবরোধ করবে জাতীয় সড়ক ও রেল পথ।


এখন দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার মথার হুমকিতে ইন্টারলোকেটর নিয়োগ করে কিনা। তবে গোটা ঘটনার প্রতি নজর রাখছে পুলিশ প্রশাসন।কারণ তিপ্রামথার আন্দোলন কেন্দ্র করে রাজ্যের কোথায়ও যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে পুলিশ।তবে এটাও বাস্তব এডিসির বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চল গুলিতে গ্রাস করছে অজানা আতঙ্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *