ডেস্ক রিপোর্টার,৩০ মার্চ।।
       ইন্টারলোকেটর নিয়োগ ইস্যুতে তপ্ত হয়ে উঠছে ত্রিপুরার রাজনীতি।রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন,”কেন্দ্রীয় সরকার ইন্টারলোকেটর নিয়োগ করবে কিনা,সেটা তাদের বিষয়।তবে বিধানসভার বিরোধী দল হিসাবে দাবি আদায়ের প্রেক্ষিতে কি করতে হবে এটা তার জানা রয়েছে।” বুধবার দিল্লি থেকে আগরতলায় এসে এই ভাষায় সুর চড়ান প্রদ্যুৎ।
                মথার চেয়ারম্যান বলেছেন,তার উপর প্রচুর চাপ রয়েছে।দিল্লি থেকে বারবার ফোন আসছে।তবে তিনি নিজের জায়গাতে অটুট।তার মধ্যেই প্রদ্যুৎ কিশোরকে যে ভয় তাড়া করছে,তাও কিন্তু বকলমে বলে দিলেন বুবাগ্রা।প্রদ্যুৎ দিল্লি থেকে এসে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন।তিনি লিখেছেন,”With our warriors My only advise to all is money cannot be bigger than your reputation! Never weaken the spirit of thansa and tiprasa.”
       অর্থাৎ প্রদ্যুৎ বলেন, “তিনি মথার যোদ্ধাদের সাথে আছেন। এবং  তিপ্রাসাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, সকলের প্রতি আমার একমাত্র উপদেশ টাকা, আপনার খ্যাতির চেয়ে বড় হতে পারে না!  থানসা ও তিপ্রাসের চেতনাকে কখনো দুর্বল করবেন না।”


প্রদ্যুৎ কিশোরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এই পোস্ট বিশ্লেষণ করে রাজনীতিকরা বলছেন, প্রদ্যুৎকে অর্থের ভয় তাড়া করছে।কারণ বিজেপি অর্থ দিয়ে তার বিধায়কদের কিনে নিতে পারেন।এবং অর্থের জোড়ে বিজেপি তিপ্রামথাকে ভেঙ্গে খান খান করে দিতে পারে।এটা প্রদ্যুৎ কিশোর বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন।তাই তিনি তিপ্রাসা বিধায়করা যেন অর্থের কাছে হার না মানেন, তার জন্যই সতর্ক করে দিয়েছেন।সঙ্গে আবেগ মিশ্রিত ভাষায় বলেন, “খ্যাতির চেয়ে টাকা কখনো বড় হতে পারে না।”
          রাজনীতিকদের কথায়, তাহলে কি তিপ্রা মথাকে ভাঙার প্রয়াস শুরু করেছে বিজেপি?রাজনীতিতে এটা অবাক হওয়ার কিছু নেই।ইতিহাস বলছে,উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনজাতি ভিত্তিক সিংহ ভাগ দলের নেতাদের চরিত্র এরকমই। তারা টাকার কাছে সহজেই বিক্রি হয়।অরুণাচল থেকে নাগাল্যান্ড,মেঘালয় থেকে মিজোরাম সব জায়গাতেই একই চিত্র। অরুণাচলে বিজেপির টাকার ধাক্কায় রাতারাতি কংগ্রেসের ৪৯ জন বিধায়ক চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে।কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়ে উত্থান হয়েছিলো বিজেপি সরকারের। উওর পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে এরকম দৃষ্টান্তের অভাব নেই বলেই মনে করছেন ভোট প্রাজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *