ডেস্ক রিপোর্টার, ৯এপ্রিল।।
              দ্বিতীয় বিজেপি – আইপিএফটি জোট সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার নেতৃত্বে ঝড়ো গতিতে কাজ শুরু করেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। শাসক দল বিজেপি ভোটে জয়ী হলেও কানের সামনে দিয়ে গিয়েছে বিপদ। এখনও সুস্থির বলা যায় না! স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ফলাফল নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছে ভাজপা শিবির।
             রাজ্যের পশ্চিম জেলায় মোট বিধানসভা কেন্দ্র ১৪ টি। বিজেপি নিজেদের সাংগঠনিক কাজকর্মের সুবিধার্থে এই ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্রকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। একটি হলো সদর শহরাঞ্চল ও অপরটি হল সদর গ্রামীন। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি ক্ষেত্রে বিধানসভার আসন সংখ্যা রয়েছে সাতটি করে। ২৩-র নির্বাচনে সদর গ্রামীনে বিজেপি আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি। তার জন্য অবশ্যই দায়ী সাংগঠনিক ব্যর্থতা।


সদর গ্রামীণ জেলার মধ্যে এবার বিজেপি জয় পেয়েছে মজলিশ পুর, মোহনপুর ও খয়েরপুর। হাত ছাড়া হয়েছে বড়জলা, বামুটিয়া, সিমনা ও মন্দাই। প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীদের ম্যাজিকে জয় পেয়েছে বিজেপি।বাদবাকি চারটি আসনের মধ্যে মান্দাই ও সিমনা তিপ্রামথার দাপটের কাছে দাড়াতেই পারে নি।  বামুটিয়া কেন্দ্রে পরাজয়ের পেছনে দায়ী খোদ প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস। বড়জলা কেন্দ্রেও প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাসের কিছু সিদ্ধান্ত বিজেপিকে ব্যাক ফুটে ঠেলে দিয়েছে। তারমধ্যে বিজেপির গ্রামীণ জেলার সভাপতি অসিত রায় দলকে সেই ভাবে উজ্জীবিত করতে ব্যর্থ। ১৮- র নির্বাচনে বড়জলা সহ গ্রামীণের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাংগঠনিক ভাবে দাগ কেটেছিলেন তৎকালীন সময়ের গ্রামীণ জেলার যুব মোর্চার সভাপতি রাজীব ঘোষ। এবারের নির্বাচনে রাজীব ঘোষকে অফ লাইন করে রেখে দিয়েছিল জেলার নেতৃত্ব। নিজেদের কায়েমী স্বার্থের জন্য। রাজীব এটা বুঝতে পেরে অভিমান করে ঘরে বসে যান।


বিজেপিকে তার খেসারত দিতে হয়েছে ২৩ র বিধানসভা নির্বাচনে। রাজীব ঘোষ নিজেও বড়জলা কেন্দ্রের ভোটার।১৮ তে দিলীপ দাসকে জয়ী করার জন্য রাজীব ঘোষ দিনরাত পরিশ্রম করেছিলেন। তার রেজাল্ট পেয়েছিল বিজেপি।এবারের নির্বাচনে রাজীব অফ লাইনে চলে যাওয়াতে বড়জলার মত পয়া আসন হাত ছাড়া হয় বিজেপির। নির্বাচনের পর দলীয় নেতৃত্বের অন্তর তদন্তে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। দিলীপ দাস ভোটের মুখে রাজীব ঘোষকে সামনে নিয়ে আসতে পারলে আজকে  তার এই দিন দেখতে হয়নি। এটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস। তবে এখন কিছু করার নেই।


কিন্তু রাজীবকে সামনে রেখে ফের দিলীপ দাস তার রাজনৈতিক বিস্তার করলে নিশ্চিত ভাবে আগামী দিনে  আশার আলো দেখতে পারবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজীব ঘোষের অভাব এবং জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণেই বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রে দিলীপ দাসের পরাজয় যে নিশ্চিত হয়েছে  তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *