
ডেস্ক রিপোর্টার, ৯এপ্রিল।।
অমিয় নোয়াতিয়া।তিনি তিপ্রামথার যুব নেতা।২০২৩ র বিধনসভা নির্বাচনে অমিয় ধনপুর কেন্দ্র থেকে তিপ্রামথার টিকিটে লড়াই করেছিলেন।কিন্তু তার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে নি। নির্বাচনে ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মূল লড়াই হয়েছিলো বিজেপির প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক ও সিপিআইএম প্রার্থী কৌশিক চন্দের মধ্যে। মথার প্রার্থী অমিয় নোয়াতিয়া কপালে জুটে ছিলো তৃতীয় স্থান।তিনি পেয়েছিল ৮হাজারের অধিক ভোট। সামনেই ধনপুর কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে উপ নির্বাচন। সম্ভবত অমিয় নোয়াতিয়া উপ ভোটে ধনপুর থেকে ফের তিপ্রামথার টিকিটে লড়াই করবেন। তার জন্যই কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিতর্কিত পোস্ট করে নিজের রাজনৈতিক টি আর পি বাড়াতে চাইছেন অমিয়? প্রশ্ন তুলছে খোদ জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।

তিপ্রামথার নেতা অমিয় নোয়াতিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক আগুন উস্কে দিয়ে শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্টর করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অমিয়র করা পোস্ট থেকে এমনই ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অমিয় নোয়াতিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,।
” তিপ্রার ক্ষমতা কেউ দেখছে না,আগামীতে দেখবে যা কারোর দাদুর পোনের গোষ্ঠীও দেখছে না,আমাদের শান্তিতে না রাখলে আমরাও কাউকে শান্তিতে রাখবো না। রাতের ঘুম কেড়ে নেব।”
কি বললেন,প্রদ্যুৎ কিশোরের এই তরুণ নেতা? তিপ্রাসা শান্তিতে না থাকলে, কাউকে শান্তিতে থাকতে দেবেন না। কেড়ে নেবেন রাতের ঘুম। অমিয় নোয়াতিয়া কাদের উদ্দেশ্যে এই হুমকি দিলেন? অবশ্যই তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজনীতিকরা বলছেন, অমিয় বাঙালি সম্প্রদায়কে হুমকি দিয়েছেন।কিন্তু বাঙালি তো রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করছে না।বরং অমিয় নোয়াতিয়ার মতো পাতি নেতারা রাজ্যের পরিবেশ নষ্ট করার চেস্টা করছেন প্রতি মুহূর্তে।

তিপ্রামথার নেতা অমিয় নোয়াতিয়া বলছেন, “আমাদের ককবরক মাতৃভাষাকে ১৯৬৭ সাল থেকে অপমান,!আর নয় এবার অফিসিয়েল ভাবে সঠিক কার্যকর না করলে সমগ্র রাজ্যটাকে স্তব্দ করে ঘুম কেড়ে নেব “।
১৯৬৭ সাল থেকে ককবরক ভাষাকে কারা অপমান করেছে? তার কোনো স্পষ্টিকরণ না দিয়েই অমিয় হুমকির সুরে বলেন, তিনি সমস্ত রাজ্যটাকে স্তব্ধ করে দেবেন এবং কেড়ে নেবেন রাতের ঘুম।বকলমে অমিয় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেই মন্তব্য ওয়াকিবহাল মহলের।

মথার নেতা অমিয় নোয়াতিয়া তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে জাহির করতে গিয়ে বলেন, যাদের জন্মের দিন তারিখ নেই,তারাই নাকি তিপ্রামথার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।বা,বা।আসলে তিপ্রামথার প্রধান প্রদ্যুৎ কিশোর নিজেই নিজের স্ট্যান্ড পয়েন্ট থেকে বার বার সরে আসছেন। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড থেকে এখন চলে গেলেন সাংবিধানিক সমাধানে।হারিয়ে গেলো গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড। তাহলে কে ছড়াচ্ছেন বিভ্রান্তি? নাকি প্রদ্যুৎ কিশোরের রাজনীতির কৌশল এখনো রপ্ত করতে পারেন নি তরুণ নেতা অমিয়? রাজনৈতিক অপরিপক্কতার কারণেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক যুক্তিহীন পোস্ট করে রাজনীতির বাজার গরম করতে চাইছেন অমিয় নোয়াতিয়া। তাই অমিয়কে অট্টহাসি হাসছেন জনজাতিরাই।

বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর কেন্দ্রের তিপ্রামথার পরাজিত প্রার্থী অমিয় নোয়াতিয়া তার বক্তব্যের মাধ্যমে পরিস্থিতির বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। ইঙ্গিত করছেন রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বিনষ্ট করার ।
তাই রাজনীতিতে মথার অল্প বিদ্যায় ভয়ংকরী নেতা অমিয় নোয়াতিয়ার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী তুলেছেন এই রাজ্যের জাতি- জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের সুশীল সমাজ।