
ডেস্ক রিপোর্টার, ৯এপ্রিল।।
কাঞ্চনপুর মহকুমার মনু – মনপুই রোড সংলগ্ন বন দপ্তরের জমি বেদখল করেছে আত্ম সমর্পনকারী জঙ্গিরা। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে মামলা।কিন্তু সাধারণ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এখন পর্যন্ত নীরব। কাঞ্চনপুরের মনপুইয়ের রেশ আছড়ে পড়বে রাজধানীতেও। এমন আশঙ্কা করছে খোদ আরক্ষা দপ্তর। আত্মসমর্পনকারী বৈরীরা এবার খোদ রাজধানীর আশপাশের খাস জমি বেদখল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা নতুন নয়।২০০৮ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আত্ম সমর্পণকারী জঙ্গি সহ্ সাধারণ জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ পুরানো রাজভবন, মালঞ্চ নিবাস সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী তাবু বানিয়ে বেদখল করেছিলো। রাতারাতি জনজাতিরা ছোট ছোট ঘর বানিয়েছিল। তৎকালীন বাম প্রশাসন তাদেরকে প্রথমে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।কিন্তু তারা উঠেনি। শেষ পর্যন্ত রাতের আঁধারে প্রশাসন বেদখলকারী জনজাতিদের উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছিল। এই ঘটনার জল গড়িয়েছিল বহু দূর পর্যন্ত।

গোয়েন্দার খবর অনুযায়ী, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে রাজধানীতে। তার প্রথম ধাপ হিসেবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা বৈরীরা কাঞ্চনপুরে ফরেস্ট ল্যান্ড দখল করেছে।এখন তাদের টার্গেট আগরতলা। রাজধানীর উত্তর গেট, রাধানগর, সার্কিট হাউজ, পুরানো রাজভবন, মালঞ্চ নিবাস, অভয় নগর সহ জিবি অঞ্চলে এরা বেদখল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।যেকোনো সময় সংঘ বদ্ধ ভাবে আত্ম সমর্পণকারী বৈরী সহ সাধারণ জনজাতিরা দখল নেবে এই সমস্ত অঞ্চল। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিষয়ে গোয়েন্দা স্বরাষ্ট্র দপ্তরে রিপোর্ট জমা করেছে।পুলিশ গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছে। তবে জোট বদ্ধ ভাবে জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন চলে এলে সমস্যায় পড়তে হবে প্রশাসনকে।

খবর অনুযায়ী, গোটা ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত।অভিযোগ, রাজ বাড়ি থেকেই তৈরি হচ্ছে ব্লু প্রিন্ট।এই ঘটনার পেছনে মদত থাকতে পারে স্ব – ঘোষিত রাজা প্রদ্যুৎ কিশোরের। তবে তিপ্রামথার প্রথম সারির নেতারা এই সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়াকিবহাল।রাজনীতিকদের বক্তব্য, মথা নেতৃত্ব মুখে শান্তি সম্প্রীতির কথা বললেও,বাস্তবে তারা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। কারণ কাঞ্চনপুরে আত্মসমর্পনকারী জঙ্গিরা ফরেস্ট ল্যান্ড যে জবর দখল করেছে, তা ভালো করেই জানে।

কিন্তু তারা চুপ কেন?এখন তাদের বুবাগ্র কেন কথা বলেছেন না। জনমনে এই প্রশ্ন।এই মুহূর্তে কাঞ্চনপুরের মতো স্পর্শকাতর অঞ্চল আরোও বিষিয়ে উঠেছে। যেকোন সময় এই ঘটনা কেন্দ্র করে পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে। তার জন্য অবশ্যই দায়ী থাকবেন তিপ্রাসাদের স্ব ঘোষিত রাজা প্রদ্যুৎ কিশোর।