ডেস্ক রিপোর্টার,১৫ এপ্রিল।।
     কাঞ্চনপুরে ফরেস্টল্যান্ড বেদখলকারী আত্মসমর্পনকারী বৈরীদের বিরুদ্ধে প্রসাশন এখনো কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। জেলা প্রশাসন একেবারেই নীরব। উত্তর জেলার জেলা শাসক নাগেশ কুমার বি হাত গুটিয়ে বসে আছেন বলে অভিযোগ জেলার লোকজনের। কারণ নাগেশ কুমার বি’র সময় কালেই পানিসাগর,কাঞ্চনপুর সহ আশপাশ এলাকায় নানান ঘটনা ঘটেছে। রিয়াং শরণার্থীর পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয় গুলির সময়েও নাগেশ কুমার বি’র কাজকর্ম নিয়ে ঘোর সন্দেহ প্রকাশ করেছিল স্থানীয় জনগণ।


রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন ইস্যুতে ২০২০- র নভেম্বর মাসে তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা উত্তর জেলা।পুলিশের গুলিতে খুন হয়েছিলো এক আন্দোলনকারী বাঙালি যুবক।পুলিশের বুলেটে জখম হয়েছিলো আরো বেশ কয়েক জন। আবার আন্দোলনকারীদের চক্রবুহ্যে পড়ে গণ ধোলাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল জনজাতি সম্প্রদায়ের এক  দমকল কর্মীর।

জেলা শাসক নাগেশ কুমার বি

পানিসাগর থেকে কাঞ্চনপুর আগুন জ্বললেও জেলা শাসক নাগেশ কুমার বি’ র কোনো হেলদোল ছিলো না। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জেলার লোকজনের। এমনকি জেলা শাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাত তুষ্টের অভিযোগ নিয়েও সরব হয়েছিল সাধারণ মানুষ।


উত্তর জেলার সাধারণ মানুষের বক্তব্য, পূর্বের ঘটনাগুলির মতোই এবারও জেলা শাসকের ভূমিকা সন্দেহের উর্ধ্বে নয়।  প্রাক্তন বৈরীরা কাঞ্চনপুরের মনু – মনপুই সড়কের পাশে ফরেস্টল্যান্ড দখল করে রাখলেও জেলা শাসক নাগেশ কুমার বি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।


জমি জবর দখলকারী প্রাক্তন বৈরীদের উচ্ছেদের জন্য জেলা শাসক কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রশাসনের নীরবতার কারণে আস্কারা পাচ্ছে ফরেস্টল্যাণ্ড দখল করে বসে থাকা প্রাক্তন বৈরীরা।পুনর্বাসনের নামে আত্মসমর্পণকারী বৈরীরা অনৈতিক ভাবে জমি দখল করলেও তাদের উচ্ছেদের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সদর্থক ভূমিকা নেই।


জেলা প্রশাসনের নীরবতার কারণে প্রাক্তন বৈরীরা প্রতিদিন তাদের বেদখলের জমির পরিমাণ বাড়াচ্ছে।  বাড়ছে জবর দখলকারীদের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে কাঞ্চনপুরের পরিবেশ আরোও জটিল হয়ে উঠেছে।
            


যেকোনো সময় ঘটনার বাক নিতে পারে অন্য দিকে।কারণ আত্মসমর্পণকারী বৈরীরা যেকোনো সময় অনুপজাতি বসবাসকারী অঞ্চল গুলিতে প্রবেশ করলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যেতে পারে বলেই মনে করছে স্থানীয় লোকজন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *