
ডেস্ক রিপোর্টার,১৫মার্চ।।
ইন্টারলকেটর ইস্যুতে প্রদ্যুৎ কিশোরকে ছড়িতে ঘুরছেন কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখনো নিয়োগ করেন নি ইন্টারলোকেটর। তবে শাহ প্রদ্যুৎকে আশ্বাস দিয়েছেন সত্ত্বর ইন্টারলোকেটর নিয়োগ করবেন।তারিখের পর তারিখ দিলেও আক্ষরিক অর্থে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই টালবাহানায় প্রতি মুহূর্তে রক্ত চাপ বাড়ছে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরের। তিনি সাধারণ জনজাতিদের কোনো উত্তর দিতে পারছেন না।গত কয়েকদিন ধরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নীরব। নেই তার হুমকির সুর।

প্রদ্যুৎ কিশোরের এই নীরবতা দেখে খোদ সন্দেহের গন্ধ পাচ্ছে সাধারণ জনজাতি অংশের মানুষ। তারা প্রশ্ন তুলছেন, দিল্লিতে টেবিলের নিচে দিয়ে বুবাগ্রা কোনো খেলা খেলেছেন কি?

রাজনীতিকরা বলছেন, দেশ ও রাজ্যের শাসক দল বিজেপি এখন প্রদ্যুৎ কিশোরের জল মাপতে শুরু করেছে। কারণ সম্প্রতি প্রদ্যুৎ কিশোর বিজেপিকে নানান ভাবে হুমকি দিয়েছে।

শুধু প্রদ্যুৎ নয়,মথার অন্যান্য নেতারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্টারলোকেটর ইস্যুতে বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ না করলে তারা রাতের ঘুম কেড়ে নেবে। স্তব্ধ করে দেবে গোটা রাজ্য” ।

বড়মুড়াতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করার পরিকল্পনাও নিয়েছিলো। খোদ প্রদ্যুৎ কিশোর হুমকি দিয়েছিল আমরণ অনশনের। তবে রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি তাতে ঘামে নি।তারাও ইন্টারলোকেটর ইস্যুতে নীরবতা পালন করছে।রাজনীতিকদের যুক্তি, কেন্দ্রীয় সরকার দেখতে চাইছে, ইন্টারলোকেটর নিয়োগ না করলে প্রদ্যুৎ কি করতে পারেন।

রাজ্যে বিজেপি – আইপিএফটির মোট আসন ৩৩টি। প্রতিমা ভৌমিক বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়াতে এখন মোট আসন সংখ্যা ৩২টি। উপ ভোটে ধনপুর থেকে বিজেপি জয়ী হবে রেকর্ড ভোটে।ইতিমধ্যে এই ঘোষণা দিয়েছেন খোদ প্রতীমা ভৌমিক। বাস্তব চিত্রও তাই বলছে।স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি – আইপিএফটি সরকারের পতনের কোনো লক্ষ্ন নেই।

তাই মানসিক ভাবে প্রচন্ড বুস্ট-আপ বিজেপি নেতৃত্ব। প্রদ্যুৎ কিশোর কোনও ভাবেই বিজেপি – আইপিএফটি সরকারের পতন ঘটাতে পারবেন না।তার মোট আসন ১৩টি। তার পাশে বাম – কংগ্রেস থাকলে তিন দলের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ২৭।তাতেও নিরাপদ বিজেপি। তাছাড়া এই মুহূর্তে প্রদ্যুৎ কিশোরের উপর আস্থা নেই বাম – কংগ্রেস জোটের।

কারণ বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচনে প্রদ্যুৎ কিশোর বাম – কংগ্রেসের সঙ্গে থেকেও অন্তিম মুহূর্তে পিছু হটে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এক ফোনে বামগ্রেস শিবিরের সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছিলেন মথার সুপ্রিমো। রাজনীতির ময়দানে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর যে মুহুর্তে মুহূর্তে ডিগবাজি খেতে উস্তাদ,এই বিষয়টি প্রকট হয়ে গেছে বাম – কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে।তাই এখন প্রদ্যুৎ বাম – কংগ্রেসকেও পাশে পাবেন না। রাজনীতিকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপি দেখতে চাইছেন,এখন প্রদ্যুৎ কিশোরের চিৎকার কত দূর পৌঁছায়।