
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৫জুন।।
১৮- র নির্বাচনে এই রাজ্যে বামেদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল। ২৩- র নির্বাচনে ভেবেছিল কংগ্রেসকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু স্বপ্ন সাকার হয় নি।তারা ক্রমশঃ অবনতির পথে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড় বামেদের খালি হাতে বিদায় করে দিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে মেলারমাঠ। কিন্তু কমিউনিস্ট নেতাদের তাড়া করছে ভয়।এই মুহূর্তে বামেদের সদস্য পদে পড়েছে ভাটা।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনেও বামেরা হলফ করেই বলেছিল তাদের ঝুলিতে আছে ১লক্ষ্ সদস্য। কিন্তু ভোটের বাজারে তার প্রভাব পরে নি।নির্বাচনের পর বাম নেতৃত্ব কয়েকবার করেই আত্ম বিশ্লেষণে বসেছিল।কিন্তু কোনো ভাবেই তারা হিসাব মিলাতে পারেন নি। বারবার রাজনীতির অঙ্কে পরিপক্ক বাম নেতৃত্বের মাথায় ভাঁজ পড়েছে।কারণ তাদের ঘোষিত সদস্য সংখ্যা ১লক্ষ্ হলেও ময়দানে তারা পঞ্চাশ হাজারের বেশি সদস্যদের কাজে লাগাতে পারেন নি।
মেলার মাঠের খবর, এখন পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে উঠেছে। দিন দিন কমে শুরু করেছে পার্টির সদস্যের সংখ্যা।সামনেই লোকসভা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে তারা একা কিছুই করতে পারবে না।

কংগ্রেসকে সঙ্গে নিলেও লাভ হবে না। একমাত্র তিপ্রামথার সঙ্গে হাত মেলাতে পারলে বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারবে। তবে মথা এখনো বামেদের কাছে বিশ্বাস যোগ্য নয়।কারণ সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে মথা বামেদের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। বাম নেতা – কর্মীদের একাংশ স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছে মথার সঙ্গে যেনো কোনো রকম সমঝোতায় না যায়।
বাম নেতৃত্বের বক্তব্য অনুযায়ী, বিধানসভা নির্বাচনের পর তাদের সদস্য সংখ্যা হুর হুর করে কমতে শুরু করেছে। অনেকেই সদস্য পদ নবীকরণ করতে চাইছে না।আবার যারা নেতাদের মুখের দিকে চেয়ে সদস্য পদ নবীকরণ করেছে তাদেরকে কাজের সময় পাওয়া যাচ্ছে না।এই অবস্থায় লোকসভা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে মহা সমস্যায় আছে সিপিআইএম।

রাজনীতিকরা বলছেন, এটা পরিষ্কার লোকসভা নির্বাচনে বামেরা প্রত্যাশিত ফলাফল করতে পারবে না।কারণ পাহাড়ে তারা নিঃস্ব। সমতলে সংগঠন থাকলেও নির্বাচনের পর কর্মীরা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস করছে না। ব্রাঞ্চ কমিটিগুলিকে সচল করা বামেদের পক্ষে কঠিন হয়ে গিয়েছে।কারণ নির্বাচনের পর অনেকেই বসে গেছে ঘরে।তারা ঘর বন্দী ।স্বাভাবিক কারণেই লোকসভা নির্বাচনের আগেই মেলারমাঠে বাড়ছে আতঙ্কের প্রহর।

রাজনীতিকদের কথায়, পশ্চিমবাংলা বামেরা ক্ষমতা হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।প্রতিটি নির্বাচনে তাদের রাজনৈতিক সাফল্যের গ্রাফ নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। ত্রিপুরায় একই অবস্থা।১৮- র পর ২৩- এ অবস্থা আরো খারাপ।যদিও বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, প্রদ্যুৎ কিশোরের জন্যই এবার তারা ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। ১৭টি আসনে বামেদের পরাজয়ের পেছনে মূল কারণ প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা।