
ডেস্ক রিপোর্টার, ১লা জুলাই।।
রাজ্যের সংস্কৃতির শহর খোয়াই।এখন ধাক্কা লাগছে খোয়াইয়ের গরিমায়।খোয়াই এখন অপসংস্কৃতির শহর।সংস্কৃতির শহরে প্রাধান্য পাচ্ছে মাফিয়ারাজ।মাষ্টার মাইন্ড খোদ বিজেপির নেতা সুব্রত মজুমদার।তিনি আবার বিজেপির খোয়াই মণ্ডল সভাপতি।সুব্রত মজুমদারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে স্থানীয় মানুষ।
এক সময় সংস্কৃতির আতুর ঘর ছিল খোয়াই।এখন সেই তকমা বিষবাও জলে। খোয়াই এখন অপরাধ নগরী। প্রকাশ্যে হুমকি – হুজ্জুতি।দেদার তোলা আদায়। চুটিয়ে নেশা কারবার । সর্বোপরি নিগোসয়েশিন বানিজ্য। আর নিগোসিয়েশনের মধুর ভান্ড দখল করতেই খুন,অপহরন সংঘটিত করতেই দ্বিধাবোধ করছে না অপরাধীরা। এরা সবাই বিজেপির নামাবলী গায়ে দিয়ে অপরাধ সংঘটিত করছে।এবং কালিমালিপ্ত করছে দলকে।তাতেই বিষিয়ে তুলছে গোটা সংস্কৃতির শহরের পরিবেশকে।

খোয়াই নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের
আঁচ এখন রাজধানীতে।খোয়াইয়ের নিগো মাফিয়ারা রাজধানীতেই সংঘটিত করেছে অপহরন কাণ্ড।তাদের টার্গেটে ছিলেনঠিকাদার শ্যামল দেব।রাজধানী পুলিশের তৎপরতায়এযাত্রায় বেচে যান শ্যামল।শ্যামলকে ফটিকছড়া থেকে উদ্ধার করে শহরের পুলিশ।
অপহৃত ঠিকাদার শ্যামল খোয়াইয়ের নিগোসিয়েশন কারবারের পর্দা ফাঁস করেছেন।নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের মূল পান্ডা কে? তাও জানিয়েছেন শ্যামল। মূল পান্ডা খোয়াই মণ্ডলের সম্পাদক পিন্টু রায়। অপহরন কাণ্ডে পিন্টু রায়ের সঙ্গে ছিলো মরণ দাস, অর্জুন সূত্রধর, অনুকূল দেবনাথ ও মিঠন গোপ। তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন শ্যামল। গোপনে শ্যামল পুলিশের কাছে মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের নামও জানিয়ে দিয়েছেন।

খোয়াই নিগোসিয়েশন কাণ্ডের মাষ্টার মাইন্ড পিন্টু রায়। জানিয়েছেন অপহৃত ঠিকাদার শ্যামল দেব।শুক্রবার রাতেই পিন্টুকে খোয়াই থেকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। তাকে নিয়ে আসা হয়েছে আগরতলায়।শনিবার তোলা হয়েছে আদালতে। পিন্টু বিজেপির খোয়াই মণ্ডলের সম্পাদক। ছি: ছি:। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে গোটা ঘটনার পেছনে থাকা মগর মাছটিকে?

* নাম: সুব্রত মজুমদার।
* বাড়ি: খোয়াই।
* রাজনৈতিক পরিচয়
____________________
দল:ভারতীয় জনতা পার্টি।
পদ: মণ্ডল সভাপতি,খোয়াই।
সংসদীয় রাজনীতি: বিজিত প্রার্থী,(বিজেপি)।
কেন্দ্র: খোয়াই।
অভিযোগ, খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের অপরাধের পিন কিং সুব্রত মজুমদার।তার নেতৃত্বেই চলে নিগোসিয়েশন কারবার। আর এই নিগোসিয়েশন কারবারের বাজার করে থাকে সুব্রত মজুমদারের আপ্ত সহায়ক তথা খোয়াই মণ্ডলের সম্পাদক পিন্টু রায়। যদিও সুব্রত এখন বলবেন,তিনি কিছুই জানেন না।তিনি ধোয়া তুলসী পাতা। তা অবশ্যই কেউ মানবে না।কারণ মণ্ডল সভাপতির সবুজ সংকেত ব্যতীত পিন্টু রায় নিগোসিয়েশনের বাজার করতে পারেন না।তাছাড়া পিন্টুর গ্রেফতারের পর কেন মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার কোনো বক্তব্য রাখেন নি? তিনি পারবেন না। তাড়া করছে ভয়।কারণ চাপের মুখে মণ্ডল সম্পাদক পিন্টু রায় যদি মুখ খুলে দেয়।

* শ্যামলকে মন্ডল সভাপতির ফোন: শুক্রবার গভীর রাতে কি করেছেন মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার? পিন্টু রায় গ্রেফতারের পর সুব্রত মজুমদারের শিরা ধমনীতে রক্ত চাপ বেড়ে গিয়েছে। তথ্য বলছে,রাতেই সুব্রত মজুমদার ফোন করেছিলেন অভিযোগকারী ঠিকাদার শ্যামল দেবের কাছে।করেছেন কান্নাকাটি।তাকে এযাত্রায় বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য।কোনো ভাবেই সুব্রতর নাম যেন প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য শ্যামলের কাছে জোর হাত করে ক্ষমা চেয়েছেন মণ্ডল সভাপতি তথা ভেকধারী সমাজসেবী সুব্রত মজুমদার।খোয়াই থেকে আগরতলা পর্যন্ত বিজেপির অন্দর মহলে শুরু হয়েছে এই গুঞ্জন।

* রাতে মিঠন গোপকে জনতার ধোলাই
_________________________________
অপহরন কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সমাজদ্রোহী তথা বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতি মিঠন গোপকে শুক্রবার রাতেই গণ ধোলাই দেয় খোয়াই অফিসটিলা এলাকার লোকজন। জনতার হাত সাফাই এতোটাই ভালো হয়েছিলো,যে মিঠনের চিকিৎসা খোয়াই হাসপাতালে সম্ভব হয় নি। তাকে রাতেই রেফার করতে হয়েছিলো আগরতলার জিবি হাসপাতালে। এই ঘটনা প্রমাণ করে খোয়াই মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের বিরুদ্ধে থাকা ক্ষোভের পরিধি। কারণ সমাজদ্রোহী মিঠন গোপ মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের একনিষ্ঠ অনুগামী হিসাবেই পরিচিত।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা গোটা ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।সতর্ক পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করেন না। তার প্রমান তিনি দিয়েছেন বহুবার।অপরাধ দমনে মুখ্যমন্ত্রী গঠন করেছেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।আগরতলা থেকে ধর্মনগর । খোয়াই থেকে বিলোনিয়া।

সর্বত্র নিগোসিয়েশন কারবারের রগরগে অপরাধের গেরুয়া কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে বিজেপির একদল ধান্দাবাজ নেতৃত্ব।তাদের কারণে থমকে যাচ্ছে রাজ্যের উন্নয়ন।রাজ্যের মানুষের আশা নিশ্চিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা এই স্বদলীয় নিগো – মাফিয়াদের সাফ করে নতুন ত্রিপুরা উপহার দেবেন।