ডেস্ক  রিপোর্টার,৪জুলাই।।
         দফতরের আইন লঙ্ঘন করছেন আরক্ষা কর্মী।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করছেন শাসক দলের প্রচার।পুলিশ কর্মীর এই কাজে উঠছে সমালোচনার ঝড় ।  মীনাক্ষী নমঃ।তিনি রাজ্য পুলিশের মহিলা কনস্টেবল। শাসক বিজেপির সমর্থক। এটা হতেই পারে।তাতে দোষের কিছু নেই।প্রতিটি মানুষ কোন না কোন রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করে থাকেন।তাই বলে, পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি ফেসবুক প্রোফাইলে দিয়ে  শাসক দলের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রচার! এটা তো অবশ্যই আইনের পরিপন্থী।

রাজ্য পুলিশের মহিলা কনস্টেবল মীনাক্ষী নমঃ তার ফেসবুকে নিয়মিত প্রচার করছেন বিজেপির। বিজেপির  যুব মোর্চার বিভিন্ন কর্মসূচি নিজের ফেসবুকে ফলাও করে ছবি দিয়ে রেখেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মচারী প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক দলের কাজকর্ম প্রচার করতে পারেন না।তার  জন্য রয়েছে শাস্তির বিধানও। মীনাক্ষীর ক্ষেত্রে কি কার্যকর হবে এই আইন? জনমনে উঠছে প্রশ্ন।


রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কেউ  বিরোধী দলের প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে দপ্তর ব্যবস্থা নেবে দফতর।এখন মীনাক্ষীর থাকবেন শাস্তির রাডারের বাইরে। কারণ তিনি শাসক দলের সমর্থক।তবে ত্রিপুরায় এরকম ঘটনা নতুন নয়।বাম জামানাতেও  কমরেড নামধারী সরকারী কর্মচারীরা সিপিআইএমের প্রচার করতেন। তখনও কমরেড কর্মচারদের বিরুদ্ধে   কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হতো না।কারণ বাম সরকারের কাছে তারা ছিলো নির্দোষ।এবারও অবশ্যই ব্যতিক্রম হবে না।


একজন সরকারি কর্মচারীর পক্ষে রাজনৈতিক দলের প্রচার থেকে বিরত থাকা উচিত।তার মধ্যে স্বরাষ্ট্র দপ্তরে চাকরী করে রাজনৈতিক দলের প্রচার একেবারেই দৃষ্টি কটুর। কারণ পুলিশের সম্পর্ক সরাসরি মানুষের সঙ্গে। সাধারণ মানুষ  বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতবাদের বিশ্বাসী থাকেন। স্বাভাবিক কারণেই পুলিশ কর্মীরা যদি, নির্দিষ্ট করে কোনো  রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেন,তখন তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলতে বাধ্য সাধারণ মানুষ।


এখন দেখার বিষয় মহিলা পুলিশ কর্মী মীনাক্ষীর বিরুদ্ধে আরক্ষা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে কি না? পুলিশ বরাবর হয় শাসক শ্রেণীর তল্পি বাহক। মীনাক্ষীর কোনো দোষ নেই।এটাই ইতিহাস। তাই বলে কি নির্লজ্জের মতো করতে হয় শাসকের প্রচার?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *