।।সংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী।।

ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।
  কুমারঘাটে উল্টোরথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে কুমারঘাটের পিডব্লিউডি ডাক বাংলোয় এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। আমি গভীর মর্মাহত। নিহতদের পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার নিহত ও আহতদের পরিবার পরিজনদের পাশে রয়েছে।

।।হাসপাতালে আহতদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী।।

সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহতের নিকট আত্মীয়কে চার লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এই দুর্ঘটনায় ৬০ শতাংশেরও বেশী আহতদের ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ আহতদের ৭৪ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।এছাড়াও আহতদের হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক এবং রাজ্যস্তরীয় প্রশাসনের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনে বহিঃরাজ্যে নিয়ে যেতে হলে সরকার তার ব্যয়ভার বহণ করবে।


সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী টিংকু রায় এবং বিধায়ক ভগবানচন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।


অন্যান্য বছরের মতো এবছরও ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটে স্থানীয় ইসকনের উদ্যোগে বুধবার উল্টোরথের আয়োজন করা হয়েছিল। এই উল্টোরথ উৎসবে অগণিত ভক্তপ্রাণ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছিল। বিকেলের দিকে উত্তর পাবিয়া ছড়ার দিকে যাওয়ার সময় গীতাঞ্জলী অডিটরিয়ামের কাছে জাতীয় সড়কের উপর রথে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথেই অগ্নিনির্বাপকের উদ্ধারকারী দল নিহত ও আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জন শিশু সহ ৭ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কুমারঘাট, ফটিকরায়, কৈলাসহর ও আগরতলার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *