ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
         রাজ্যের ধনী ক্রীড়া সংস্থা ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে বৃহস্পতিবার অকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্রিকেট সংস্থার তিনটি পদকে কেন্দ্র করেই অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় মুখ্যমন্ত্রীর গ্রুপ। বিজেপির ঘরোয়া রাজনীতিতে এটা মুখ্যমন্ত্রীর নৈতিক জয় বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।
          এদিনের নির্বাচনের মধ্যে জৌলুস পূর্ণ পদ ছিলো ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির চেয়ার।  নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াইয়ের অলিন্দে ছিলেন অমিত রক্ষিত ও তপন লোধ। টিসিএ’ র সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সভাপতি পদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন পূর্বতন সভাপতি তপন লোধ।


তিনি ২৩-৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন অমিত রক্ষিতকে। অর্থাৎ তপন লোধ পূনরায় বসেছেন রাজ্যের ধনী ক্রীড়া সংস্থার লাল মকমলের চেয়ারে। একই ভাবে কোষাধ্যক্ষ পদে জয়ী হয়েছেন বাসুদেব চক্রবর্তী। তিনি পরাজিত করেছেন  জয়লাল দাসকে। এবং কাউন্সিলর পদেও জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র গোপ। তিনি পরাজিত করেছেন তপন চৌধুরী। কোষাধ্যক্ষ ও কাউন্সিলর পদে বিজয়ী প্রার্থীরাও তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ২৩-৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।


ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, এদিনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়  সংস্থার কার্যকারী সদস্য অলক ঘোষ ও শান্তির বাজার মহকুমার প্রতিনিধি ভোট দানে বিরত ছিলেন।  টিসিএ’ র নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৩৩জন। কিন্তু ভোটারদের তিনজন এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী তারা ভোট দানে বিরত ছিলেন।বাদবাকি ত্রিশ জন ভোট দেওয়া কথা ছিল। কিন্তু অলক ঘোষ ও শান্তির বাজার প্রতিনিধি ভোট না দেওয়াতে মোট ভোট কাস্টিং হয়েছিলো ২৮টি। তারা সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও কাউন্সিলার তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোট দিয়েছিলেন। ভোট গণনার পর দেখা যায়, তিনটি পদের ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী লবি ২৩টি করে ভোট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর ঝুলিতে উঠে আসে মাত্র ৫টি করে ভোট। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে নির্বাচনে আটঘাট বেঁধেই নেমেছিল মুখ্যমন্ত্রীর লবি। এবং তাদের মুখেই শেষ পর্যন্ত হাঁসি ফুটে ওঠে।
         টিসিএ’ র এই নির্বাচন প্রকারন্তে আবারও প্রমাণ করলো শাসক দল বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত।কারণ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন দলের সাধারন সম্পাদক। অন্য দিকে বড় জয় পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর লবি। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে পূর্বতন কমিটির ১০জন পদাধিকারীকের বিরুদ্ধে ক্রাইম ব্রাঞ্চ দায়ের করেছিল মামলা। তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল চাপের রাজনীতি। এই চাপ সামলে উঠতে পারে নি মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী গোষ্ঠী। তারই খেসারত দিতে হয়েছে দলের সাধারন সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ তার লবির লোকজনকে। কারণ নির্বাচনের আগেই অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর লবির প্রতিনিধিরা। আর এখানেই বিপক্ষ গোষ্ঠীর কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিতে সক্ষম হয়েছিল ভোটের বিজয়ী গোষ্ঠী।
             
  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *