ডেস্ক রিপোর্টার ১৫ফেব্রুয়ারি।।
               ” ঊষা বাজার।” রাজধানীর  বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্যতম বাণিজ্যিক ক্ষেত্র। এমবিবি বিমান বন্দর থেকে সিপিডব্লিউডি। মধুর মধুর ভান্ডে টুইটুম্বর। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের মধু আহরণ করতে মৌ মাছিরা ভন ভন করে থাকে। এটা নতুন নয়। বাম জামানার মতো, রাম জমানাতেও বহাল একই সংস্কৃতি।
             ঊষা বাজারের মধুর ভান্ড দখল কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও মৌ মাছিদের ভন ভন পৌঁছছে না রাজ্য আরক্ষা প্রশাসনের কর্ন কূহরে। তাই এখন মৌ মাছিরা লিপ্ত হচ্ছে গ্যাং ওয়ারে। এই মুহূর্তে ঊষা বাজারের ভারত রত্ন সংঘ সহ এয়ারপোর্ট, সিপিডব্লিউডি সবই এখন সমাজদ্রোহী রাজু বর্মনের দখলে। রাজু তার সম্রাজ্য ধরে রাখতে একের পর এক আপরাধের ব্লু প্রিন্ট তৈরী করছে। বর্তমানে রাজু বর্মনের উপদেষ্টা রাজধানীর অপরাধ জগতের “মিসিং লিংক” অমৃত ঘোষ ওরফে অমিত ঘোষ । অপরাধ জগতে যার পোশাকি নাম “দাদামনি”।

।।অপরাধ জগতের মিসিং লিঙ্ক অমিত ঘোষের সঙ্গে রাজু বর্মন।।

অমিত ঘোষ বর্তমানে অবস্থান করছেন কলকাতার তেগুড়িয়াতে। হলদিরাম সংলগ্ন এলাকায়। সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি রাজু বর্মন ছুটে গিয়েছে কলকাতা তেগুড়িয়াস্থিত অমিত ঘোষের বাড়িতে।সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করে আছে ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক প্রভাকর ঘোষ। প্রভাকরও সিপিডব্লিউডি নিগোসিয়েশন কাণ্ডের অন্যতম মাষ্টার মাইন্ড। এবং রাজু বর্মনের অনুগামী। রাজুর সঙ্গে কলকাতা সফরে গিয়েছেন ভারত রত্ন সংঘের যুগ্ম সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত ওরফে পাপ্পু। সমাজদ্রোহীরা অমিত ঘোষের কলকাতার গোপন ডেরাতে বসেই অপরাধের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে।

তিন যুবক কি রাজু’র সুপারি কিলার?

ঊষা বাজার এলাকার মানুষের ভাষ্য এলাকাতে রাজু বর্মন দিনদিন কোন ঠাসা হয়ে উঠছে। এই কারণে রাজু ঊষা বাজার ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে রাধানগরে।এখানেই তৈরি করেছে অট্টালিকা সমেত বাড়ি।তাহলে কি হবে? রাজু তো সিপিডব্লিউডি’র মধুর ভান্ড’ র মায়া ছাড়তে পারছে না । প্রতিদিন স্থানীয় মণ্ডলের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে রাজু বর্মনের। তাই পথের কাটাদের চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অমিত ঘোষের সঙ্গে বসেই  নাকি অপরাধের নতুন স্ক্রিপ্ট রচনা করছে।

।।সুপারি কিলারদের লিয়াজোঁ দেবব্রত বর্মন!।।

ঊষা বাজারের অপরাধের গর্ভগৃহের এক ভয়ানক তথ্য উঠে এসেছে সামনে। এলাকায় গুঞ্জন, রাজু বর্মন তার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। রাজু এখন বাংলাদেশ থেকে ভাড়া করেছে এক”সুপারি কিলার”কে।সঙ্গে আছে স্থানীয় কিলারও। কামরুল নামক এক যুবককে রাজু বাংলাদেশ থেকে নিয়ে এসেছে। সে নাকি শার্প শুটার।সঙ্গে আছে শহরের জিবি এলাকার সুমন ও ধলেশ্বর এলাকার সাগর। ঊষা বাজারে তাদের লোকাল অভিভাবক দেবব্রত বর্মন ওরফে বাপন। দেবব্রত সম্পর্কে সমাজদ্রোহী রাজু বর্মনের ভাই। দেবব্রতের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় তিন সুপারি কিলার পিস্তল হাতে নিয়ে প্রতিনিয়ত চক্কর কাটছে ঊষা বাজার এলাকার। তাদের পিস্তলের নলের মুখে আছে বেশ কয়েকজন বিজেপির কার্যকর্তা। যারা এই মুহূর্তে দখল করতে চাইছে ভারত রত্ন সংঘ। আর ক্লাব দখল করলেই তারা পেয়ে যাবে সিপিডব্লিউডির মত মধুর ভান্ড।
       


বিজেপির কর্মীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে দেবব্রতের তিন সুপারি কিলার কালো রঙের একটি থার গাড়ি নিয়ে ঘুরাফেরা করছে গোটা ঊষা বাজার।বুধবার রাতে তারা ঊষা বাজার বিন পাড়া অঞ্চলে এম্বুশ পেতে ছিলো প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজনকে বাগে আনার জন্য। কিন্তু বিরোধী গোষ্ঠী সতর্ক থাকার কোনো ঝামেলা হয়নি।


তৎপর ছিল পুলিশও। স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এদিন রাতেই এলাকায় বাড়ানো হয়েছিলো পুলিশী টহল। সব মিলিয়ে রাজু বর্মনের “সুপারি কিলার” ও থার আতঙ্কে ভুগছে গোটা ঊষা বাজার। ক্রমশঃ বিগড়ে যাচ্ছে পরিবেশ পরিস্থিতি। প্রবল হচ্ছে গ্যাং ওয়ারের আশঙ্কা। তারপরও এক অজানা কারণে নিশ্চুপ পুলিশ সহ শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *