তেলিয়ামুড়া ডেস্ক।।
আষাঢ়ের কাঠফাঁঠা রৌদ্র তপ্ত দিনের প্রত্যন্ত এলাকাতে পানীয় জল সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গীয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীন নুনাছড়া এ.ডি.সি ভিলেজের নমঞ্জয়বাড়ি,হামপাইলা,দত্ত মলসম পাড়া গুলিতে। এই তিনটি এলাকায় প্রায় আশিটি জনজাতি পরিবারের বসবাস। স্নান থেকে শুরু করে জলচেষ্টা নিবারণ করার জন্য প্রায় ৩০০ ফুট খাদ থেকে জল সংগ্রহ করতে হয় তাদের। যা নিদারুণ সমস্যা। ৮ থেকে ৮০ সবাই জল সংগ্রহে ব্যাস্ত থাকতে হয় প্রায় প্রত্যেকদিন। উপরন্তু খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য জুম চাষ ও করতে হয় কাঠ ফাটা রোদেও। সরকারিভাবে জল সরবরাহ নেই বললেই চলে। এই সমস্যা থেকে কিভাবে নিস্তার পাবে তারা বুঝে উঠতে পারছে না। কেননা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জল নিতান্তই প্রয়োজন। কিন্তু এই জলের জন্য ত্রাহি ত্রাহি ভাব। চড়াই উৎরাই পাহাড়ের মেঠো পথ অতিক্রম করে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে নিত্যদিন। এদিকে জল কষ্টের প্রসঙ্গটি ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রশাসন ও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে।
এরপরেও জল সংকটের স্থায়ী সমাধান করে দিতে পারছে না এ.ডি.সি প্রশাসন থেকে কোন এক অজ্ঞাত কারণে।এদিকে আরো জানা যায়, ছড়া কিংবা পাথর চোষা, গর্তের অপরিশোধিত নোংরা পানীয় জল পান করছে শূন্য থেকে সকলেই। আর এই অপরিশোধিত পানীয় জল পান করেই জল বাহিত বিভিন্ন অজানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে ওই এলাকায় বসবাসরত গিরিবাসীদের। আর তার কারণে, ওই এলাকাগুলিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে শুরু করে চিকিৎসা পরিষেবা না পৌঁছার কারণে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ঘটনাও রয়েছে বিগত দিনগুলিতে।