ডেস্ক রিপোর্টার,১০জানুয়ারি।।

গোটা বিশ্বে মানুষ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলো ২০২২-এ করোনা মুক্ত পৃথিবী।কিন্তু তা হলো না।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই করোনার তৃতীয় ঢেউ ও ওমিক্রনের দাপটে আতঙ্কগ্রস্থ গোটা বিশ্ব। করোনার তৃতীয় ঢেউ ও ওমিক্রনের আতঙ্ক থেকে রেহাই পেলো না পার্বত্য ত্রিপুরা।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে রাজ্যে। ঘোর বিপদের হাতছানি দিচ্ছে নয়া ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন। নতুন বছরের শুরুর দিন থেকেই রাজ্যে পুরোপুরি ভাবে হাবি হয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। প্রতিদিন করোনা তার নিজস্ব গতিতে সংক্রমণ বাড়িয়ে চলছে। বছরের প্রথম তিনদিন সংক্রমণ কম থাকলেও চতুর্থ দিন থেকে টপ গিয়ারে চলছে করোনা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন মানুষকে আগাম সতর্ক করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য প্রশাসন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ।তাই আগে থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে “নাইট কার্ফুর” সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।সোমবার থেকে গোটা রাজ্যে জারি হয়ে গেছে নাইট কার্ফু।প্রাথমিক ভাবে আগামী ২০জানুয়ারি পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বলছে, প্রতিদিন সংক্রমণের হার বাড়ছে তড়িৎ গতিতে।এই ভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আগামী কিছু দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১৭৬জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের।এবং আক্রান্তের শতকরা হার ছিলো ৪.৮৩শতাংশ।
তার আগে গত ৯জানুয়ারি আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ২০৬জন।আক্রান্তের শতকরা হার ছিলো ৫.১৫শতাংশ। ১৫৪জন আক্রান্ত হয়েছিলো গত ৮জানুয়ারি।আক্রান্তের হার ছিলো ৩.৭০ শতাংশ। ৭জানুয়ারি ৩.০৯ শতকরা হারে ১০৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলো। মৃত্যু হয়েছিলো একজনের।গত ৬জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলো ৮৩জন ।সংক্রমণের হার ছিলো ২.৭৫ শতাংশ। ৫জানুয়ারি সংক্রমণের হার ছিলো ১.৬২ শতাংশ।আক্রান্ত হয়েছিল৪৬০জন। গত ৪জানুয়ারি আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ৪৮০জন এবং সংক্রমণের শতকরা হার ছিলো ১.৬৭। গত ৩জানুয়ারি করোনার সংস্পর্শে এসেছিলো ১২জন। সংক্রমণের হার ০.৭১শতাংশ। ২রা জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২জন।এবং আক্রান্তের হার ১.০৪শতাংশ। জানুয়ারির প্রথম দিন সংক্রমণের হার ছিলো ১৭জন। আক্রান্তের শতকরা হার ছিলো ০.৬৯ শতাংশ। রাজ্য সরকারের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১০দিনে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৮৬৭জন।গড়ে প্রতিদিন শতকরা আক্রান্তের হার ৮৬.৭ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন।এই কারণেই করোনা প্রতিরোধে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মিছিল,মিটিং বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।তাছাড়া করোনার সমস্ত বিধি নিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার।জোর দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিন প্রদানের উপর। শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ।সব মিলিয়ে করোনা প্রতিরোধে গোটা স্বাস্থ্য প্রশাসন কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *